ঢাকায় জঙ্গি দমন অভিযান,জামাত ইসলামির ডেরায় বিপুল বোমা-অস্ত্র উদ্ধার

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে বাংলাদেশে গণবিক্ষোভ চলেছিল। সেই বিক্ষোভকে রক্তাক্ত করেছে জামাত ইসলামি ও কিছু উগ্র সংগঠন বলে দাবি করেছে সরকার। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর পরিস্থিতি…

সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ ইস্যুতে বাংলাদেশে গণবিক্ষোভ চলেছিল। সেই বিক্ষোভকে রক্তাক্ত করেছে জামাত ইসলামি ও কিছু উগ্র সংগঠন বলে দাবি করেছে সরকার। রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের পর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। চলছে ধরপাকড়। এসবের মাঝে ঢাকায় জামাত ইসলামির সংগঠনের একটি ডেরা থেকে বোমা-অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট অর্থাত জঙ্গি দমন শাখার অভিযান চলে। এই অভিযানে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মিশুক চাকমা বলেন, বাসাটি ছিল জামাতের আস্তানা। তিনি বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডি সাতমসজিদ রোড সংলগ্ন একটি বাড়ি যার নাম ‘অবসর ভবন’ সেখানেই মিলেছে জামাতের জমা করা অস্ত্র ভাণ্ডার।

   

অভিযানে গ্রেফতার করা হয় জামাত ইসলামির নেতা শ রাশেদুল ইসলামসহ তিনজন। তাদের জেরা করে অস্ত্র মজুত করার তথ্য পায় ঢাকা পুলিশ। যার মধ্যে রয়েছে চাপাতি, রড ছুরি ও কাঠের ডান্ডা, ১১টি ককটেল বোমা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। 

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়মের সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের নিয়ন্ত্রণ করছিল বিএনপি এবং জামাতের নেতারা বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তবে জামাত ইসলামি ও অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির দাবি, এই গণবিক্ষোভ ছিল স্বৈরাচারি সরকারের বিরুদ্ধে দেশবাসীর আন্দোলন। সরকারে থাকা দল আওয়ামী লীগের দাবি, অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছিল।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পড়ুয়াদের আন্দোলনের কন্ট্রোল বিএনপি-জামাত ও জঙ্গিদের হাতে ছিল। যারা দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এদের আক্রোশই ছিল পুলিশ ও আওয়ামী লীগের প্রতি। দুইজন সাংবাদিককে হত্যা ও একজন নারী সাংবাদিককে নাজেহাল করেছে তারা। এরা মানুষের শত্রু, জনগণের ও দেশের শত্রু। 

তিনি বলেন, ওরা পদ্মা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও প্ল্যান সেতু ভবনে হামলা করে পুড়িয়ে দিয়েছে৷ ত্রাণ ভবন নষ্ট করেছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর্কাইভে সংরক্ষণ করে, সেই বিটিভি ভবনও পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। মেট্রোরেলে ওদের অগ্নিসংযোগে এখন বন্ধ।