‘মমতা নিজেই বেশি কথা বলতে চাননি’, আসল তথ্য ফাঁস করল নীতি আয়োগ

নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে সর্বত্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৈষম্যের আচরণের অভিযোগ তুলে বৈঠকের মাঝেই রীতিমতো হনহনিয়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর এই…

নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচরণ নিয়ে সর্বত্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। বৈষম্যের আচরণের অভিযোগ তুলে বৈঠকের মাঝেই রীতিমতো হনহনিয়ে বেরিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনা সকলকে এক প্রকার অবাক করে ছেড়ে দিয়েছে। যদিও এই ঘটনা প্রসঙ্গে এবার মুখ খুলল নীতি আয়োগ। আর নীতি আয়োগ (Niti Aayog) যা বলল তা শুনে আপনিও চমকে যেতে পারেন।

আজ শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন নীতি আয়োগের সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবির বিরোধিতা করেছেন। বললেন, “মুখ্যমন্ত্রী চলে যান কারণ তাঁর বিমান ধরার ছিল, যদিও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব নীতি অযোগের বৈঠকে ছিলেন।”

   

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার নয়াদিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, তবে বক্তৃতার সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগ করে বৈঠক বয়কট করেছিলেন। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পর পিআইবির তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করছেন এবং তিনি মিথ্যে কথা বলছেন সম্পূর্ণ।

নীতি আয়োগের বৈঠকের পর সিইও বিভিআর সুব্রহ্মণ্যম বলেন, “আজকের এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন ১০ জন এবং অংশগ্রহণকারী ছিলেন ২৬ জন। কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, বিহার, দিল্লি, পঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। বিরোধী দল হিসেবে শুধু উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মধ্যাহ্নভোজের আগে তাকে কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তাঁর কথা মতো প্রাক-মধ্যাহ্নভোজের সময় তাকে বরাদ্দ করা হয় এবং তিনি নির্ধারিত সময়ের জন্য কথা বলেন।”

সুব্রহ্মণ্যম আরও জানান যে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্ধারিত সময়ের জন্য নিজের পক্ষে কথা বলেছিলেন এবং যখন ঘড়িতে সময় শেষ হয়েছে যায় তখন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী থামার জন্য ইংত দিয়েছিলেন। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী কথা বলার জন্য বাড়তি সময় চাননি বলে সভা ছেড়ে চলে যান। এ ছাড়া বৈঠকে আর কিছু হয়নি। আটটি রাজ্য ও দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীরা এই বৈঠকে যোগ দেননি। বিহার বিধানসভার বাজেট অধিবেশন চলছে, তাই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পক্ষে আসতে অসুবিধা হচ্ছিল।’