‘মিসলিড’ করছেন মমতা? মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রকেরই অভিযোগে তোলপাড় দিল্লি!

মিসলিডিং ইনফর্মেশন’ – ঠিক এই শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)  অভিযোগের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে। নীতি আয়োগের বৈঠকে কথা বলতে না দেওয়া…

West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee attends Niti Aayog meeting in Delhi, July 2024

মিসলিডিং ইনফর্মেশন’ – ঠিক এই শব্দই ব্যবহার করা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)  অভিযোগের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে। নীতি আয়োগের বৈঠকে কথা বলতে না দেওয়া এবং মাইক বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বৈঠক বয়কট করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। সেই অভিযোগের কাউন্টার অ্যাটাক করতেই আসরে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন মন্ত্রক (Mamata Banerjee)।

নীতি আয়োগের বৈঠকে অনেক কংগ্রেসী এবং অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরাই উপস্থিত ছিলেন না। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছিল একটা সময় যে মমতা ব্যানার্জি ও খুব সম্ভবত বৈঠকে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে বাজেটে বাংলাকে রীতিমত চরম উপেক্ষার অভিযোগ এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

   

তারই প্রতিবাদে মমতার নীতি আয়োগের বৈঠকে না যাওয়ারও একটা প্রবল সম্ভাবনা অনেকেই দেখছিলেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলকে রীতিমত ঘোল খাইয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লি রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। একটা সময় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠকেরও গুঞ্জন শুনতে পাওয়া গিয়েছে। যদিও সেই বৈঠক গুঞ্জন ই থেকে গিয়েছে।

ভারসাম্য রক্ষায় দিল্লির মরিয়া চেষ্টা, এবার ইউক্রেন সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদী

বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু কুড়ি মিনিট বলার সুযোগ পেয়েছেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা থেকে শুরু করে একাধিক বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী গড়ে পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট পর্যন্ত সময় পেয়েছেন। সেখানে মাত্র পাঁচ মিনিট বলার পর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক অফ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও নীতি আয়োগ সূত্রে খবর, বৈঠক শুরুর আগেই মমতার নাম বক্তাদের লিস্টে এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। ফলে মমতার বক্তব্য এবং মমতার গুরুত্ব পাওয়া নিয়েও বেশ জল্পনা শুরু হয়েছিল।

Indian Railways: অদ্ভূত, ভারতীয় রেলের এই স্টেশনে ট্রেন থামে বছরে মাত্র ১৫ দিন!

আর এবার মমতার এহেন অভিযোগের পরেই আসরে নামল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। মমতার অভিযোগ কে কার্যত বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়েছেন তারা। নিজেদের এক্স এই বিষয়ে তারা একটি পোস্টও করেছেন। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর মাইক অফ করা হয়নি, শুধুমাত্র স্ক্রিনে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে তার বক্তব্যের সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার তো কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগেই সীলমোহর দিল তাহলে। কারণ সময় নিয়ে বৈষম্যের যে অভিযোগ মমতা করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর পোস্টেও সেই একই বক্তব্য একটু ঘুরিয়ে উপস্থাপিত হল। অবশ্য নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতার একাধিক অভিযোগ এবং প্রতিবাদ করার সম্ভাবনা ছিল। বিশেষ করে রাজ্যের একাধিক বকেয়া আটকে রাখা এবং বাজেটের রীতিমতো বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আক্রমণাত্মক মেজাজেই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্য শুরু করেছিলেন এমনটাই শোনা যাচ্ছে।

রেলপ্রেমীদের জন্য দুরন্ত খুশির খবর! ট্র্যাকে আরও ৫ বন্দে ভারত

আপাতত সময় খরচা করে দিল্লি পৌঁছেও সময় না পেয়ে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক বয়কট করে তিনি সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লির বাংলোতেই আপাতত রয়েছেন। গতকালই তিনি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়েছিলেন।

আপাতত জেলবন্দি কেজরিওয়ালের বাড়িতে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনাও করেছেন। বৈঠক বয়কট করার পর দিল্লির রাজনীতিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী কী কী পদক্ষেপ হয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। মমতার এই রাজনৈতিক ম্যানেজমেন্টের উপরেই আগামী দিনের অনেক রাজনৈতিক সমীকরণ নির্ভর করছে বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক মহল।