কানাডায় ফের মাথাচাড়া খালিস্তানের, হিন্দু এমপিকে বড় হুমকি পান্নুনের

কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে খালিস্তানি দাপট। এবার কানাডার পার্লামেন্টের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক এমপিকে হুমকি দিল চরমপন্থী খালিস্তানি সংগঠনের নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন। নিষিদ্ধ খালিস্তানি…

Pannu

কানাডায় ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে খালিস্তানি দাপট। এবার কানাডার পার্লামেন্টের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক এমপিকে হুমকি দিল চরমপন্থী খালিস্তানি সংগঠনের নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুন। নিষিদ্ধ খালিস্তানি সংগঠনের নেতা গুরুপতবন্ত সিং পান্নুন সম্প্রতি ভারতে ফিরে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন কানাডিয়ান এমপি চন্দ্র আর্চকে। কারণ কানাডার হিন্দু মন্দিরে শিখ সংগঠনগুলির হামলা নিয়ে সম্প্রতি প্রতিবাদে মুখ খোলেন তিনি। তারপরই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ হানতে শুরু করে সেদেশের শিখ সংগঠনগুলি। 

হারের হতাশা থেকে বাংলা-ভাগ, নাকি নেপথ্যে বিজেপির অন্য কোনও অভিসন্ধি?

   

বুধবার আর্য বলেন, ‘‘গত কয়েক বছরে, গ্রেটার টরন্টো এরিয়া, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং কানাডার অন্যান্য জায়গায় হিন্দু মন্দিরগুলিতে হামলা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এডমন্টনে স্বামীনারায়ণ মন্দিরে হামলা হয়। তার প্রতিবাদ জানানোর পরেই আমাকে এবং আমার হিন্দু অনুগামীদের কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার জন্য ভিডিয়ো বার্তা পাঠিয়েছেন পন্নুন।’’

NDA-তে চূড়ান্ত ডামাডোল! হাতছাড়া হবে মহারাষ্ট্র? তড়িঘড়ি বৈঠকে মোদী

Advertisements

২০১৯ সালে ১০ জুলাই পাঁচ বছরের জন্য পান্নুনের সংগঠন শিখ ফর জাস্টিসকে বা এসএফজে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এই বছর সেই সময়সীমা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই কানাডার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা মন্দিরগুলিতে আক্রমণ আরও বাড়িয়ে তোলে এসএফজে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতেই প্রতিবাদ জানিয়ে সরব হয়েছিলেন চন্দ্র আর্চ। দীর্ঘদিন ধরেই পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে ব্রিটেন, কানাডা, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিতে ভারত বিরোধী আন্দোলন করে আসছে পান্নুনের সংগঠন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও লাগাতার ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক প্রচার চালিয়ে এসেছে পান্নুন। যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত। 

রাজ্যের জমি অধিগ্রহণে অনীহা, বাংলায় রেল প্রকল্পে ঢিলেমির কারণ: রেলমন্ত্রী

গতবছর ভারতের বিরুদ্ধে শিখ নেতা হরবিন্দর সিং নিসারকে হত্যা করার অভিযোগ তুলেছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সেই নিয়ে দুই দেশের মধ্যে জলঘোলা কম হয়নি। ভারত-কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অবনতির পেছনে শিখ সংগঠনগুলির অতি সক্রিয়তাকেই দায়ী করে কূটনৈতিক মহল। পরে এই পান্নুনকে আমেরিকার মাটিতেও হত্যা করতে চেয়েছিল ভারত। এমনও অভিযোগ তুলেছিল ওয়াশিংটন। যা নিয়ে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক ধাক্কা খায় বলে দাবি কূটনীতিকদের।