বিশ্বখ্যাত পদ্মা সেতু ধংসে জামাত ইসলামির ষড়যন্ত্র, তিনদিনের ভয়াবহ সংঘর্ষ বিবরণ

বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের দাবি, দেশে চাকরির জন্য সংরক্ষণ বিরোধী পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী অভ্যুত্থানে পরিণত করতে জামাত ইসলামিসহ বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল।…

During the anti-quota movement, the conspiracy to destroy the world-famous Padma Bridge was stopped by Bangladesh Police and Army

বাংলাদেশ (Bangladesh) সরকারের দাবি, দেশে চাকরির জন্য সংরক্ষণ বিরোধী পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী অভ্যুত্থানে পরিণত করতে জামাত ইসলামিসহ বিভিন্ন উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করেছিল। এই ষড়যন্ত্রের অংশীদার অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি। আপাতত সংঘর্ষ থাকলেও গোটা বাংলাদেশ জুড়ে দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ ধংসের ছবি।  নিহত দেড় শতাধিক।

Advertisements

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের বিস্ময় সৃষ্টি। এই সেতু দক্ষিণ এশিয়ার সড়ক ও রেল যোগাযোগে বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহণ ও যাত্রী আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম। ৬.১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতু ২০২২ সালে উদ্বোধন করা হয়। পরিকাঠামোগত প্রযুক্তির নিরিখে পদ্মা বহুমু়খী সেতুটি বিশ্বে বিশেষ পরিচিত। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা পদ্মা সেতু দিয়ে ভুটান, নেপাল ভারত হয়ে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক লেনদেন দক্ষিণ এশিয়া থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় দ্রুত ছড়িয়ে যাবে।

   

পড়ুয়াদের আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিশ্ববিখ্যাত পদ্মা সেতুতে নাশকতার ছক করেছিল হামলাকারীরা। তবে পদ্মা সেতুতে নাশকতা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

প্রথম দিনে পদ্মা সেতু সংঘর্ষ: সশস্ত্র পুলিশ বনাম হামলাকারীরা-
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দিনটি ছিল তীব্র সংঘাতপূর্ণ। রক্তাক্ত সংঘর্ষ চলছিল। সেইদিন পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে উত্তর থানার কাছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা জড়ো হয়। তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। হামলায় নিকটবর্তী থানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একপর্যায়ে হাজার খানেক হামলাকারীর ঘেরাটোপে পড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তখন হামলাকারীরা পদ্মা সেতুর দুই প্রবেশ পথ দখল নিতে মরিয়া ছিল। পুলিশের লাগাতার টিয়ারসেলের ধোঁয়ায় তারা হটে যায়। বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, রক্তাক্ত বিক্ষোভের সময় পদ্মা সেতু রক্ষায় সর্বোচ্চ সর্তকতা নেওয়া হয়েছিল।

দ্বিতীয় দিনে পদ্মা সেতু সংঘর্ষ: সীমান্তরক্ষী বনাম হামলাকারীরা-
গত বৃহস্পতিবারের পর থেকে টানা সংঘর্ষে বাংলাদেশে শতাধিক নিহত। পরিস্থিতি সামলাতে সেনা নামানো হয়। জারি হয় কারফিউ। শুক্রবার (১৯ জুলাই) পদ্মা সেতু রক্ষায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়। বিজিবি রক্ষীদের সঙ্গেও হামলাকারীদের সংঘর্ষ চলতে থাকে।

Advertisements

তূতীয় দিনে পদ্মা সেতু সংঘর্ষ: সেনা বনাম হামলাকারীরা-
পরিস্থিতি আরও রক্তাক্ত হচ্ছে দেখে গত শনিবার (২০ জুলাই) থেকে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার জন্য সেতুর কাছেই স্থাপন করা হয়েছে একটি সেনানিবাস। এই সেতুর নিরাপত্তায় পদ্মা নদীর উপর নৌপথে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জলে ও স্থলে সেতুর সবখানেই সবরকম পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে সেনাবাহিনী।

পদ্মা সেতুর একদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা অন্যদিকে মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। সেনা জানিয়েছে সম্পূর্ণ নিরাপদ পদ্মা সেতু। এদিকে বাংলাদেশে ছড়িয়েছে পদ্মা সেতু ধংসের গুজব। কারফিউর কারণে এখন সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মুন্সীগঞ্জের জেলাশাসক মহম্মদ আবুজাফর রিপন জানান, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।