আরও দরাজ মমতা, এবার দুর্গা পুজো অনুদান বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা

এখনও বাকি মাস দু’য়েকের বেশি। কিন্তু বেজে গেল পুজোর ঘন্টা! সৌজন্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করলেন এবার পুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারের অনুদানের অঙ্কও। ২০২৪ সালে, গতবারের…

mamata banerjee says 85 thousand rupees will be given to pujo committees, আরও দরাজ মমতা, এবার পুজো অনুদান বেড়ে ৮৫ হাজার টাকা

এখনও বাকি মাস দু’য়েকের বেশি। কিন্তু বেজে গেল পুজোর ঘন্টা! সৌজন্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ঘোষণা করলেন এবার পুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারের অনুদানের অঙ্কও। ২০২৪ সালে, গতবারের থেকেও বেশি পুজো অনুদান পাবে বারোয়ারি পুজো কমিটিগুলো। এবার মমতা সরকার বাংলার নথিভুক্ত পুজো কমিটিগুলোকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে। পরেরবার এই অনুদান বেড়ে ১ লাখ হতে পারে বলে আগাম প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এবারের পুজোয় ক্লাবগুলিকে দেওয়া অনুদানের টাকা একই থাকবে নাকি তা বাড়ানো হবে, তা নিয়েই জল্পনা চলছিল। গত বছর ১০ হাজার করে টাকা বাড়িয়ে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার তা আরও ১৫ হাজার টাকা বাড়ানো হল বলে নেতাজি ইন্ডোরে পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

   

গত বছর প্রায় ৪৩ হাজারের মতো পুজো কমিটি এই টাকা পেয়েছিল। সেই সঙ্গে মেলে বিদ্যুৎ বিলে ৬৬.৬৬ শতাংশ ছাড়। এবার পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুতের মাসুলেও ৭৫ শতাংশ ছাড় দেওয়ার জন্য সিইএসই এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন পর্ষদকে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

চলতি বছর ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী। ১৫ অক্টোবর কলকাতায় হবে প্রতিমা নিরঞ্জনের কার্নিভাল। এ দিনের বৈঠক শেষে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলাগুলোতেও হবে হবে কার্নিভাল, তবে তা কবে হবে তা স্থির করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসনগুলোকেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

সুজিত বোসকে ফের ধমক মমতার! সাবধান করলেন পুজোর আগে

প্রত্যেক বছরই রাজ্যের বিভিন্ন পুজো কমিটিকে আর্থিক সাহায্য করে আসছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকার। পুজো কমিটি পিছু ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে যা শুরু হয়েছিল, কোভিডের সময় তা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়। এরপর ধাপে ধাপে প্রথমে ৬০ হাজার টাকা এবং গতবার আরও ১০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করা হয়েছিল।

পুজো কমিটিগুলোকে রাজ্য সরকারের দেওয়া এই অনুদানের প্রতিবাদ করেছেন বিজেপি কাউন্সিলর তথা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার পুজো কমিটির প্রধান সজল ঘোষ। বলেছেন, ‘এভাবে অনুদান দেওয়ার প্রতিবাদ করছি। যে সরকার ডিএ দিতে পারে না সেই সরকার ভোট কিনতেও পুজো কমিটিগুলোকে এভাবে টাকা দিতে পারে না। কোনও পুজো কমিটির প্রয়োজন হলে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সব কমিটিকে কেন জনগণের করের অর্থ দেওয়া হবে? আমরা এবারও রাজ্য সরকারের অনুদান নেব না।’

সিপিআইএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘এই ধরণের অনুদান দেওয়া অত্যন্ত অনৈতিক। আমার পুজো কমিটির শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন সদস্যদের কাছে আবেদন, প্রতিবাদ করে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান করুন। না হলে রাজ্যের কোষাগারের ক্ষতি হবে।’