বিজেপি সাংসদ ‘দাদা’-এর জন্য কষ্ট করবেন ‘বোন’ তৃণমূল বিধায়ক মধুপর্ণা

মঞ্চে এসেছিলেন চমক দিতে, কিন্তু অনভ্যাসের দায়ে প্রথমে গলা কাঁপালেন। তারপরে বেশ কয়েকবার কী বলবেন সেটা গুলিয়ে ফেললেন। শুধু তাই নয় তাঁকে মাঝপথে এসে তৃণমূলের…

madhuparna thakur

short-samachar

মঞ্চে এসেছিলেন চমক দিতে, কিন্তু অনভ্যাসের দায়ে প্রথমে গলা কাঁপালেন। তারপরে বেশ কয়েকবার কী বলবেন সেটা গুলিয়ে ফেললেন। শুধু তাই নয় তাঁকে মাঝপথে এসে তৃণমূলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কিছু একটা বললেন। এই মুহূর্তের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক মধুপর্ণাকে বাগদা থেকে জিতিয়ে বিধানসভায় পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মধুপর্ণাকেই শহিদ সভার মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখার জন্য পাঠিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ল ঘাসফুল শিবির। তবে তাঁর মুখে তাঁরই পারিবারিক দাদা ওরফে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নাম।

   

আদৌ তৃণমূলে যোগ, নাকি বিভীষণের ভূমিকায় দুই বিজেপি সাংসদ? নজরে একুশের মঞ্চ

তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে নারীশক্তি নিয়ে কথা বলে। অথচ গত ৭ এপ্রিল বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, আমার দাদা, মাঝরাতে আমার বিধবা মা, আমাকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছিলেন। সেই জবাব বিজেপি দেয়নি। আপনাদের ক্ষমতা নেই মমতার সামনে দাঁড়াবেন।’’ এখানেই শেষ নয়, নিজের বক্তব্য শেষ করার আগে তিনি বলেন যে, যে কাজগুলো তাঁর দাদা করেননি সেই কাজগুলো তিনি করে দেবেন। শুধু তাই নয়, দাদার জন্য ‘কষ্ট’ করবেন তিনি। মাঝে আজানের জন্য বক্তৃতা থামিয়ে দেন মধুপর্ণা। তার পর সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করেন বক্তৃতা।

সাতসকালে মূলমঞ্চের সামনে জনতার ঢল, একুশে এবার রেকর্ড ভিড়?

তাঁর সদ্য বয়স পঁচিশ। এই বয়সে তিনি বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় যাবেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ মে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরে জন্ম মধুপর্ণার। সেখানেই শুরু লেখাপড়া। মাধ্যমিক পাশ করেন নাগপুর থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন বিধাননগরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে। প্রপিতামহের নামাঙ্কিত পিআর ঠাকুর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেছেন। বর্তমানে বারাসত বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে এমএসসি পড়ছেন তিনি।