কলকাতা: বাংলাদেশের আঁচ এবার কলকাতাতেও। বাংলাদেশে চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনের (Anti-Quota Protest) আঁচ এবার কলকাতাতেও দেখা গেল। AIDSO ছাত্র সংসদের প্রতিবাদে তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতার মাটি।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের পরে আটক করে পুলিশ। অন্যদিকে দিল্লির যন্তর মন্তরেও AIDSO ছাত্র সংসদও প্রতিবাদে গর্জে ওঠে। এমনিতে যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলাদেশে কোটা বিরোধী আন্দোলনের মাত্রা ততই বেড়ে চলেছে। অনেকের মৃত্যু অবধি হয়েছে। চাকরিতে সংরক্ষণ বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যাপক হিংসার রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৯ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আড়াই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারী। লাঠি, ও পাথর নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ সময় বাংলাদেশে বাস-ট্রেন ও মেট্রো চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। হিংসা যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য সরকার মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে। স্কুল, কলেজের পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলোও অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সারাদেশে ফ্রন্টে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন কবে থামবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সম্প্রতি জাতীয় টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শান্তির আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু এর পরে বিক্ষোভকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা যখন সরকারি টেলিভিশন অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়, সে সময় অনেক সাংবাদিকসহ প্রায় ১২০০ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
#WATCH | West Bengal: AIDSO students union in Kolkata stage a protest amid the ongoing anti-quota protests in Bangladesh.
They were detained by the Police. pic.twitter.com/mBvnXjvV23
— ANI (@ANI) July 19, 2024