ভারতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় শুক্রবার এক আইনজীবীকে নেকব্যান্ড ছাড়া আদালত কক্ষে ঢোকায় চরম ভর্ৎসনা করেছেন। কালো কোট সহ নেকব্যান্ড আইনজীবীদের পোশাকের অন্যতম অংশ।
এ দিন প্রধান বিচারপতির এজলাসে ওই আইনজীবী একটি মামলায় নিজের সওয়ালে জরুরি শুনানির আর্জি জানান। সেই সময়ই ভারতের প্রধান বিচারপতি ওই আইনজীবীর পোশাক দেখে অসন্তুষ্ট হন। ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “দ্রুত মামলার শুনানি চেয়ে একটি ইমেল পাঠান। কিন্তু আপনার নেকব্যান্ড কোথায়? এটা কি কিছু ফ্যাশন প্যারেড চলছে?” বার অ্যান্ড বেঞ্চ এই রিপোর্ট করেছে।
প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে ওই আইনজীবী সাফাই দেন যে, তাড়াহুড়োর ফলে নেকব্যান্ড পড়তে পারেননি তিনি। পাল্টা তখন প্রধান বিচারপতি আইনজীবীকে কড়া জবাব দেন। বলেন, “দুঃখিত, আপনি সঠিক পোশাকে না থাকলে আপনার কথা শুনতে পারব না।”
আইনজীবীরা আদালত কক্ষে কি পোশাক পড়বেন তার জন্য বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিয়ম অনুসারে, সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, অধস্তন আদালত, ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আইনজীবীরা এমন পোশাক পরবেন, যা হবে শান্তির এবং মর্যাদাপূর্ণ।
আইনজীবীদের পোশাকবিধি-
আইনজীবীরা একটি কালো বোতামযুক্ত কোট, চাপকান, কালো শেরওয়ানি এবং গাউন সহ সাদা নেক ব্যান্ড পড়েন। এছাড়াও থাকে একটি কালো খোলা ব্রেস্ট কোট। জিন্স ব্যতীত কালো লম্বা ট্রাউজার পরেন আইনজীবীরা। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, নিম্ন আদালত, দায়রা আদালত বা সিটি সিভিল কোর্ট ছাড়া অন্য আদালতে নেকব্যান্ডের বদলে কালো টাই পরা যেতে পারে।
ঘোর বিপদে শুভেন্দু! অধিকারী গড়েই পদ্মে ভরসা হারাচ্ছেন সংখ্যালঘুরাই
মহিলা আইনজীবীদের জন্যও পোষাকবিধি নির্ধারিত রয়েছে। সাদা কলার দেওয়া ফুলহাতা ব্লাউজ, সাদা শাড়ি, ফুল হাতা জ্যাকেট, সাদা নেকব্যান্ড এবং অ্যাডভোকেট গাউন পড়তে হয় মহিলা আইনজীবীদের। শাড়ির বদলে দোপাট্টা সহ চুড়িদার কুর্তা বা সালোয়ার-কুর্তাও পড়া যেতে পারে।