লোকসভা ভোটে বাংলায় দারুণ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। কিন্তু তা সত্ত্বেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন থামছেই না। এবার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দলের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলি জেলার খানাকুলে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির।
পঞ্চায়েত ভোটে খানাকুল-১ ব্লকে ভালো ফল করেছিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডও গঠন করে তারা। কিন্তু বোর্ড গঠনের পর থেকেই তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল চরম আকার নেয়। আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠী এবং খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপেন মাইতির গোষ্ঠী।
পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে যে দীপেন গোষ্ঠীর কয়েকজন ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে তাঁরা পদত্যাগপত্রও জমা দেন। এর জেরে বোর্ডের পরিস্থিতি টালমাটাল হয়ে যায়। স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরপরই ময়দানে নামে নইমুল ওরফে রাঙা গোষ্ঠী।
TMC: পাশাপাশি বসে দায় সারলেন সৌগত এবং মদন! দোষ চাপালেন পুলিশের ঘাড়ে
স্থায়ী সমিতিতে জটিলতার বিষয়ে বৈঠক ডাকেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতি। পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ের বাইরে দুই গোষ্ঠীর কয়েকশো লোক জমায়েত হন। স্লোগান, পাল্টা স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। জমায়েত এড়াতে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশকে তাড়া করতে দেখা যায়। মাথা ফাটে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির।
পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য জানান, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ম্যাডামের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় মেরে। আমাকেও মারধর করা হয়েছে। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃশানু রায়, আরামবাগ এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তী, আরামবাগ থানার আইসি রাকেশ সিংহ।
‘খেলা শুরু’ অভিজিতের! মমতাকে বিরাট চ্যালেঞ্জ তমলুকের বিজেপি সাংসদের