রাজনীতিতে আসার আগে বহুবার নানা বিষয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছেন নায়িকা কঙ্গনা রানাউত। সাংসদ হওয়ার পরও তাঁকে কেন্দ্র করে বিতর্কের অন্ত নেই। এবার কঙ্গনা এমন এক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে।
কী এমন বলেছেন মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা?
এবার লোকসভা ভোটে প্রথমবার লড়েই হিমাচল প্রদেশের মান্ডি কেন্দ্র থেকে জিতেছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। জনপ্রতিনিধি হওয়ায় সাধারণ মানুষের প্রতি তাঁর দায়িত্ব বেড়েছে। এখন বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কঙ্গনার কাছে আসছেন সমাজের নানাস্তরের বহু মানুষ। যা দেখেই শর্ত আরোপ করেছেন কঙ্গনা। জানিয়ে দিয়েছেন যে, একমাত্র আধার কার্ড থাকলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করা যাবে! অর্থাৎ, কেউ যদি কোনও কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান তাহলে আধার কার্ড আনতে হবে। এছাড়াও, কে কী কারণে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চায় তাও একটি পাতায় নাম, ঠিকানা দিয়ে লিখিত আনতে হবে।
কেন এমন শর্ত?
মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রনাউতের ব্যাখ্যা, হিমাচলে প্রচুর পর্যটক আসেন। তাই কে কোন রাজ্যের মানুষ তা সহজে বোঝা যায় না। এ দিকে পর্যটকদের কারণে অনেক সময়ে সাধারণ মানুষ একাধিক সমস্যার মধ্যে পড়েন। তখন সেই সমস্যা কথা জানাতে বিলম্ব হয়। এমন কোনও অসুবিধা যাতে না হয়, সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে।
সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ! অকাল মৃত্যু ঝুঁকির সাবধানবাণী শোনালেন চিকিৎসকরা
কংগ্রেসের কটাক্ষ-
মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির কঙ্গনা রানউতের কাছে পরাজিত হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের ৬ বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিং-এর ছেলে বিক্রমাদিত্য সিং। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কঙ্গনার নতুন নিয়মের বিষয়ে বিজেপি সাংসদকে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা বিক্রমাদিত্য সিং। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মানুষের সেবা করতেই রাজনীতিতে এসেছি। তাই শুধু নিজের কেন্দ্র নয়, রাজ্যের যে কোনও প্রান্ত থেকে আসা মানুষের সঙ্গে দেখা করা আমাদের দায়িত্ব। কাজ ছোট হোক কিংবা বড়, সমস্যা গুরুতর হোক কিংবা সাধারণ, সব মানুষকে সাহায্য করাই আমাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।’ পাশাপাশি কঙ্গনাকে খোঁচা দিয়ে বিক্রমাদিত্য জানিয়েছেন য়ে, তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে চাইলে কোনও আধার কার্ড বা নথি আনার প্রয়োজন নেই।