সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজ! অকাল মৃত্যু ঝুঁকির সাবধানবাণী শোনালেন চিকিৎসকরা

উন্নত অর্থনীতির সঙ্গে ভারতকে লড়াই করতে হলে যুব সমাজের সপ্তাহে কাজের সময়সীমা হওয়া উচিত ৭০ ঘন্টা। গত বছর ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি এই মন্তব্য করেছিলেন। যা…

Ola CEO Calls For 70 Hour Work Week Doctor Warns Of Premature Death Risk, সপ্তাহে ৭০ ঘন্টা কাজের পক্ষে ওলা কর্তা! অকাল মৃত্যু ঝুঁকির সাবধানবাণী শোনালেন চিকিৎসকরা

উন্নত অর্থনীতির সঙ্গে ভারতকে লড়াই করতে হলে যুব সমাজের সপ্তাহে কাজের সময়সীমা হওয়া উচিত ৭০ ঘন্টা। গত বছর ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি এই মন্তব্য করেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। নারায়ণমূর্তির সেই বক্তব্যকে সমর্থন করে ফের একবার বিতর্কে ঘি ঢাললেন ওলা চেয়ারম্যান ভাবিস আগরওয়াল। সপ্তাহে ৭০ ঘন্টার কাজকে সমর্থন করেছেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকরা মনে করেন, অতিরিক্ত কাজে অসুস্থতা বাড়বে। এমনকী অকাল মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে হায়দরাবাদের ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক সুধীর কুমার বলেছেন, “দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করলে একাধিক গুরুতর রোগ এবং এমনকী অকাল মৃত্যুরও ঝুঁকি বাড়ে।” বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা তুলে ধরে ওই চিকিৎসক বলেছেন যে, “প্রতি সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা র বদলে ৫৫ বা তার বেশি ঘন্টা কাজ করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি ৩৫ শতাংশ বাড়ে এবং ইস্কেমিক হৃদরোগে মারা যাওয়ার ঝুঁকি ১৭ শতাংশ বেশি।”

   

ডাঃ সুদীর কুমার জানিয়েছেন যে, একটি সমীক্ষায় প্রকাশ যে, সপ্তাহে ৫৫ ঘন্টার বেশি কাজ করার ফলে প্রতি বছর ৮ লাখেরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়।

রেলের টিকিটে বড় বদল, না জানলেই বিপদ

কাজের দীর্ঘ সময় অতিরিক্ত ওজন, প্রি-ডায়াবেটিস এবং টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায় যা তাড়াতাড়ি মৃত্যুর কারণ। চিকিৎসক সুধীর কুমার বলেছেন, “যারা সপ্তাহে ৬৯ বা তার বেশি ঘন্টা কাজ করে তাদের সপ্তাহে ৪০ ঘন্টা কাজ করা লোকদের তুলনায় বেশি বিষণ্নতার লক্ষণগুলির দেখা যায়।” ওই স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, “ওলা বা ইনফোসিস কর্তারা তাঁদের সংস্থার লাভ এবং উন্নতির জন্য কর্মীদের দীর্ঘসময় কাজের কথা বলেছেন।” চিকিৎসকের দাবি, “অতিরিক্ত কাজে অসুস্থ কর্মচারীদের জায়গায় সহজেই অন্যন্য কর্মীও ওই সব সংস্থা জোগাড় করে নিতে পারবে। তাই এ ধরণের কাজের সময়ের কথা বলা হয়েছে।”

চিকিৎসকের পরামর্শ, ‘জীবনে সব কিছুর ভারসাম্য প্রয়োজন। অর্থের জন্য এমন সংস্থায় কাজ করা উচিত হবে না যেখানকার কর্তারে স্বার্থপরের মত কর্মীদের অমানবিকভাবে খাটায়।”