পরিকাঠামোগত শর্ত পূরণ করতে না পারায় নীলরতন সরকার (এনআরএস), কলকাতা মেডিতক্যাল সহ রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল আর্থিক জরিমানার মুখে। সূত্রের খবর, এনআরএসকে জরিমানার অহ্ক সবচেয়ে বেশি, প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। রাজ্যের অন্যান্য সব মেডিক্যাল কলেজগুলির কোনওটার জরিমানা ২ লক্ষ, তো কোনওটার ৫ লক্ষ টাকা।
বারংবার বলার পরেও পরিকাঠামোগত ন্যূনতম শর্তগুলি পূরণ না হওয়ায় এবার কড়া পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (এনএমসি)। এমনকি, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ডাক্তারির নির্ধারিত আসন কমিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কিন্তু স্নাতক স্তরে ডাক্তারির অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট হয়ে গিয়েছে। সেই পরীক্ষা ঘিরে অনিয়ম সত্ত্বেও নিট এখনও পর্যন্ত বাতিল হয়নি। বুধবারই কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে নিটের কাউন্সেলিং শুরু করতে চায় তারা। এই পরিস্থিতিতে ডাক্তারির পড়ুয়াদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে আপাতত আসন কমানোর পথে হাঁটতে চাইছে না কমিশন।
অভিযুক্ত গুন্ডা জেলবন্দি, তবুও প্রাণনাশের ভয়ে ‘থরহরি কম্প’ তৃণমূল সাংসদের! তটস্থ পুলিশ
হুঙ্কার পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য। কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের সূত্র খবর, পুনরায় কমিশনের কাছে আর্জি জানাতে ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। আপাতত সেই টাকা দিয়েই পরিকাঠামো নতুন করে খতিয়ে দেখার আর্জি জানাতে চলেছে মেডিক্যাল কলেজগুলি।
দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলির পরিকাঠামো যথাযথ অবস্থায় রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে সমীক্ষা চালায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। স্বশাসিত এই সংস্থা সম্প্রতি এই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও পরিকাঠামোর হাল খতিয়ে দেখেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা নেই। চিকিৎসক এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীর হাজিরায় বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়গুলি নিয়ে আগেই মেডিক্যাল কলেজগুলিকে সতর্ক করেছিল কমিশন। অভিযোগ, তার পরেও এই শর্তগুলি পূরণ করেনি রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ। নির্দিষ্ট পোর্টালে তাই এই অংশগুলি ফাঁকাই রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।