বাংলায় সংখ্যালঘু ভোটের আশা ছাড়ছে বিজেপি। তাদের টার্গেট এবার শুধুই হিন্দু ভোট (Hindu Voters)। তাই হিন্দুত্বে শান দিয়েই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে ঝাঁপাতে চাইছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেড। চব্বিশেই তৈরি হচ্ছে ছাব্বিশের রোড ম্যাপ।
চব্বিশের ভোটে বঙ্গে সবুজ সুনামি। এবার সামনে একাধিক নিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। কিন্তু বঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ এখন থেকে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে। এই ভোটে কোমর বেঁধে ময়দানে নামতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। ছাব্বিশে তাদের টার্গেট হিন্দু ভোটকে আরও বেশি করে নিজেদের দিকে সুসংহত করা
এর জন্য বিধানসভা ভোটে হিন্দুত্ব অস্ত্রেই শান দিতে চাইছে বিজেপি। সেই লক্ষ্যেই তৈরি হচ্ছে রণকৌশল। চব্বিশের লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ থেকে এক ধাক্কায় বারোতে নেমেছে বিজেপি। রাজ্য নেতৃত্বের দাবি, উনিশের তুলনায় চব্বিশের লোকসভা ভোটে বিজেপির আসন কমলেও তাদের হিন্দু ভোট অক্ষত রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে সেই পরিসংখ্যানও তুলে ধরেছেন রাজ্যের নেতারা। তাঁদের দাবি, বাংলায় তৃণমূলের থেকে অনেক বেশি হিন্দু ভোট পেয়েছে বিজেপি।
লোকসভায় প্রাপ্ত হিন্দু ভোটের থেকে আর পাঁচ শতাংশ বেশি ভোট পেলেই বঙ্গে পদ্ম ফুটবে বলে আশা পদ্মশিবিরের। এ বিষয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, বিজেপি অবশ্যই সংখ্যালঘুদের ভোট চায়। তাঁদের বোঝাতে চায় যে আপনারা শুধু ভোটার হয়ে থাকবেন না, মেইন স্ট্রিমে আসুন। সংখ্যালঘুর ভোট পেয়েই সরকারে আসতে হবে, এখনও পশ্চিমবঙ্গের সেই অবস্থা আসেনি। যারা মনে করে সংখ্যালঘুরাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করবে, তাহলে সংখ্যালঘুদের নেতারা ভুল করছে। সে অবস্থা এখনও আসেনি। মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
এবার লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি পেয়েছে ৩৮ দশমিক সাত তিন শতাংশ ভোট। তৃণমূল ৪৫ দশমিক সাত ছয় শতাংশ। বিজেপির টার্গেট ছাব্বিশে আরও পাঁচ শতাংশ বেশি ভোট পাওয়া। সেক্ষেত্রে বিজেপি হবে ৪৩ শতাংশ। পদ্মশিবির মনে করছে, তাদের ভোট বাড়লে নিশ্চিতভাবে তৃণমূলের ভোট কমবে। আর এই বাড়তি ভোটের জন্য বিজেপির লক্ষ্য হিন্দুত্বের হাতিয়ারে শান দেওয়া
লোকসভা ভোটের নিরিখে রাজ্যের ২৯৪ বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৯০টিতে এগিয়ে বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৪৯টি কেন্দ্রে। অনেক বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে বিজেপি। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটে এরকম ১৭৫টি কেন্দ্রকে টার্গেট করেছে পদ্মশিবির।
হিন্দু ভোটারদের সমর্থন ধরে রাখতে একগুচ্ছ কর্মসূচিও নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। যেমন- তৃণমূলস্তরে উৎসবভিত্তিক নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসংযোগ। ভোটার লিস্ট ধরে হিন্দু ভোটারদের তালিকা তৈরি করা। রাজনীতির বাইরে গিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা।