অভিযোগ আগেই ছিল। এবার মিলল বড়সড় প্রমাণ। পাচার বা চোরাচালানে মদত দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল কেন্দ্রীয় জাহাজ ও বন্দর রাষ্ট্রমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) বিরুদ্ধে। বনগাঁ লোকসভা সাংসদ শান্তনুকে (Shantanu Thakur) জুনের শুরুতেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার একমাসের মধ্যে মতুয়াদের দাপুটে নেতা শান্তনুর বিরুদ্ধে উঠল গুরুতর অভিযোগ।
একটি বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় অবাধে বিভিন্ন দ্রব্যের ব্যবসা চালাতে ‘ছাড়পত্র’ দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর। কোনও সাদা কাগজ বা চিরকুটে নয়, রীতিমতো নিজের লেটারহেডে লিখিত অনুমোদন দিচ্ছেন তিনি। আর সেই চিঠিই পৌঁছে যাচ্ছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কর্তাদের কাছে। এই বিএসএফ-ই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলায়।
বাংলায় এসে এর আগে বহু বারই তৃণমূলের বিরুদ্ধে কয়লা পাচার, গরু পাচার মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, দুটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্মীদের যোগ রয়েছে। আর তৃণমূলের তরফে বারংবার দাবি করা হয়েছে, কয়লাখনির দায়িত্বে রয়েছে সিআইএসএফ, আর সীমান্তে রয়েছে বিএসএফ। ফলে পাচারে কারা যুক্ত তা বোঝাই যাচ্ছে!
কেন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন? বিরাট কারণ ফাঁস করলেন শুভেন্দু অধিকারী
সূত্রের খবর, শান্তনু ঠাকুর সাংসদ ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও বটে। ফলে তাঁর লেটারহেডে লেখা নির্দেশ ফেলতে পারছেন না বিএসএফ কর্তারা। ফলে সীমান্তের স্বরূপনগর, ঘইরাডাঙা, হাকিমপুর, কিটিন্ডা, পেট্রাপোল দিয়ে অবাধে চলছে পাচার। একটি ভাইরাল লেটারহেডে দেখা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় ৩ কেজি করে গো-মাংসের কারবার চালানোর জন্য তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার সুপারিশ করেছেন শান্তনুবাবু।
এই বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। একটি সংবাদ পত্রকে তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সহায়তায় রমরমিয়ে চলছে বেআইনি ব্যবসা। স্থানীয় স্তরে এই ধরনের অবৈধ কারবার চালানোর জন্য প্রথমে নিলাম ডাকা হয়। বিরাট অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কয়েকজন মাতব্বর সেই বরাত পান। তারপর চড়া দামে বিক্রি করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ওই ‘লিখিত পারমিট’। সেটা দেখিয়ে বিনা বাধায় চলে চোরাচালান।
দারুন সুখবর, কলকাতা থেকে দিঘা যেতে সকাল-সন্ধ্যায় স্পেশাল ট্রেন, জানুন সময়সূচি