রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণ সম্পূর্ণ না শুনেই বুধবার ওয়াক আউট করে বিরোধীরা। কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির ওয়াক আউটের সিদ্ধান্তের নিন্দায় মুখর হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ‘নিজেদের করা প্রশ্নেরই জবাবই শুনতে পারছে না বিরোধীরা। ওরা শুধু পালাতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এ দিন রাজ্যসভায় তৃতীয়বার এনডিএ সরকারের ক্ষমতায় আসার সাফল্যকে তুলে ধরেন। একইসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ সোনিয়া গান্ধীকে পরোক্ষে আক্রমণ করেন। মোদীর কথায়, ‘এরা হল সেই মানুষগুলি, যারা অটো পাইলট এবং রিমোট পাইলট মোডে সরকার চালাত। ওরা কাজ করায় বিশ্বাস করে না, শুধু অপেক্ষা করতে জানে।’ সেখানেই আমরা কঠোর পরিশ্রমে কোনও খামতি রাখিনি। বিগত ১০ বছরে আমরা যা কাজ করেছি, এবার তা আরও বাড়ানো হবে। আমাদের যে স্বপ্ন, তাতে এই ১০ বছর শুধু সূচনা ছিল, এবার মূল কাজ শুরু হবে।’
চোপড়ায় নারী নির্যাতন: ‘এখন মুখে কুলুপ কেন?’ মমতাকে নিশানা মোদীর
বিজেপি কটাক্ষের সুরে প্রায়ই দাবি করে যে, ইউপিএ সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে আসলে চালনা করতেন সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর অনুগামীরা। মনমোহনের নিজস্ব কোনও ক্ষমতা ছিল না সিদ্ধান্ত গ্রহণের। সোনিয়াকে করা মোদীর এ দিনের ‘রিমোট’ তোপও সেই সবকেই সামনে রেখে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই যার বিরুদ্ধে মুখর কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মাঝেই বিরোধী সাংসদরা এ দিন টানা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি ছিল, ‘এলওপি-কো বলনে দো’। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য না থামানোয়, তারা স্লোগান বদলে ‘ঝুট বোলনা বন্ধ করো’, ‘শরম করো’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন।
রেল থেকে কড়কড়ে ১০ হাজার জেতার সুযোগ! কীভাবে? জানুন
তবে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের বক্তব্য রাখার অনুমতি দেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এরপরই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা একযোগে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
বিরোধীদের এই আচরণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি অবাক হয়ে যাই যে কিছু মানুষ যারা সংবিধান দিবসের বিরোধিতা করেছিল, তারাই সংসদে সংবিধান হাতে নিয়ে সুর চড়াচ্ছে। আমাদের সংবিধান আলোর মতো কাজ করে, আমাদের দিশা দেখায়। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।’