আর পাঁচটা প্রয়োজনীয় কার্ডের মত প্যান কার্ডও সাধারন মানুষের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পূর্ণ হয়ে উঠেছে। কারন এই প্যান কার্ডও ভারতীয় নাগরিকদের জন্য অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হয়ে উঠেছে। যেমন কর প্রদান করা ছাড়াও আরও একাধিক ক্ষেত্রে এই পরিচয়পত্রটির প্রয়োজন পড়ে। আয়কর জমা করার জন্য এই কার্ডটি থাকার বিষয়টি বাধ্যতামূলক।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও তোলার সময়েও কয়েকটি ক্ষেত্রে এই কার্ডটির প্রয়োজন পড়ে। সেই সময়ে এই কার্ডটি না থাকলে সমস্যায় পড়তে পারে সাধারণ মানুষ। তাই প্যান কার্ড সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য জেনে রাখা দরকার। যেমন প্রথমেই এই প্যান কার্ডের সম্পূর্ণ কথা হল পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর (PAN)। এটি দেশের আয়কর বিভাগের পক্ষ থেকে জারি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্ট। এখানে 10 সংখ্যার আলফানিউম্যারিক নম্বর থাকে। এই আলফানিউম্যারিক নম্বর অর্থাৎ, এই নম্বরটিতে অক্ষর এবং সংখ্যা দুই থাকে।
একজন ব্যক্তি বা সংস্থার জন্য সাধারণভাবে একটিই প্যান নম্বর প্রদান করা হয়ে থাকে। এই কার্ডটিকে প্রাথমিকভাবে কর প্রদান এবং সেই সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে প্যান কার্ড বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তবে জেনে রাখা প্রয়োজন ব্যাঙ্কে সাধারণভাবে সমস্ত ধরনের বা পরিমাণের নগদ জমা করার জন্য গ্রাহকদের কাছে প্যান কার্ড থাকার প্রয়োজন পড়ে না। গ্রাহকেরা প্যান কার্ড ছাড়াই দৈনিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পর্যন্ত নগদ অর্থ জমা করার সুবিধা পেয়ে থাকেন।
তবে,কোন গ্রাহক যদি একদিনে যদি একবারে 50,000 টাকার বেশি পরিমাণে অর্থ জমা বা ডিপোজিট করতে চান, সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই প্যান কার্ড প্রদান করতে হবে ব্যাঙ্কের কাছে। আবার যদি আপনি একটি আর্থিক বছরে আপনার মোট জমা করা নগদের পরিমাণ 20 লক্ষ টাকা পেরিয়ে যায় সেই ক্ষেত্রেও প্যান সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এই নিয়মটি আপনার সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং পোস্ট অফিসের সম্মিলিত আমানতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এতএব, আপনার জমা করা নগদের পরিমাণ এই দুটি সীমা পেরিয়ে গেলে অবশ্যই সঙ্গে প্যান কার্ড রাখুন। তা না হলে আপনাকেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।