বিহারের জন্য নীতীশের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাসে’ র দাবি ফের উঠে এল জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রে। যারফলে চলতি সংসদ অধিবেশনেই এনডিএ সরকারের ওপর চাপ বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শনিবার দিল্লিতে জেডিইউর জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের তাবড় জেডিইউ নেতারা। আর সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে বিহারের জন্য ‘স্পেশাল স্ট্যাটাসে’র দাবি ফের অনুমোদন পেল।
তবে এই দাবি পাস হলেও এখনই মোদী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইচে না জেডিইউ। কারণ আগামী বছর বিহার বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই জোট টিকিয়ে রাখা উভয়পক্ষের কাছেই বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সেই কারণেই হিসেবে সঞ্জয় ঝা-কে জেডিইউর কার্যকরি সভাপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। কারণ এর আগে বিহারে বিজেপির বড় নেতা ছিলেন সঞ্জয় ঝা। তারপরে বিজেপি ছেড়ে জেডিইউতে যোগ দেন তিনি। ফলে বিজেপির অন্দরের ‘হাল-হকিকত’ বুঝতে নীতীশের অনেকটাই সুবিধা হবে বলে ধারনা রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি এনডিএ-র মধ্যে সমন্বয়ের বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি অনেকের। তবে প্রবীণ জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেন, “স্পেশাল স্ট্যাটাসে’ র দাবি নতুন নয়, এখন এনডিএকে সরকার চালানোই তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য। তবে বিহারের জন্য এই দাবি থেকে সরবে না তাঁরা।”
অন্যদিকে, এই ‘স্পেশাল স্ট্যাটাসে’ র ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই ঘুঁটি বাঁধছেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুও। চলতি অধিবেশনের ‘সাইডলাইনে’ বিজেপি নেতাদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনাও সেরেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগেও ২০১৮ সালে অন্ধ্রের জন্য ‘স্পেশাল স্ট্যাটাসে’ র দাবিতেই এনডিএ ছেড়েছিলেন। তবে এবার মোদীকে সমর্থন জানালেও নিভৃতে দুই শরিক নেতাই নিজেদের ‘ঘর গোছাতেই’ যেন বেশি মরিয়া, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। আর এই ইস্যুকে উস্কে দিয়ে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে জয়রাম রমেশ বলেন, এনডিএ তাঁর শরিকদের দাবি দেওয়া কবে পূরণ করবেন?”
এদিকে বিহার ভোটে বিজেপি নীতীশের হাত ধরে লড়া উচিত না বলে সম্প্রতি দাবি করেন অশ্বিনী চৌবে। তাঁর দাবি, নীতীশের দলের সঙ্গে বিহারে জোট বেঁধে লড়লে লোকসান হবে বিজেপির।