আনসার আল ইসলামের ভারত বিরোধী জঙ্গি জালের বিস্তৃতি দেখে চমকে যাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ। আল কায়েদার শাখা বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনটি ছড়িয়েছে একাধিক রাজ্যে। মুক্তমনা লেখক, নাস্তিক ও যুক্তিবাদীদের খতম করার লক্ষ্য এই সংগঠনটির। পশ্চিমবঙ্গের পর আনসার জঙ্গিদের দুই সদস্য মিজোরাম থেকে গ্রেফতার। আদালতের নির্দেশে ওই দুই বাংলাদেশি জঙ্গিকে হেফাজতে নিল জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (NIA)।
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার মানকর কলেজের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র হারেজ শেখ জঙ্গি সংযোগ অভিযোগে ধরা পড়েছে। ধৃতে বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে আনসার আল ইসলাম সংগঠনের সদস্য। পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফের তদন্তে উঠে আসে দেশের অন্যতম সামরিক ঘাঁটি পানাগড়েই জঙ্গি জাল ছড়িয়েছে। আনসার আল ইসলামের পূর্বতন নাম আহসারুল্লাহ বাংলা টিম। এই নামে সংগঠনটি বাংলাদেশে একাধিক মুক্তমনা লেখক খুনে জড়িত। সংঠনটির বেশ কিছু সদস্য আগেও পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়ে।
এবার ভারত বিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত আনসার আল ইসলামের সদস্য দুই বাংলাদেশিকে সাজা দিয়েছে NIA আদালত। এদের নাম মাহমুদ হাসান @ শরিফুল হাসান (এ-1) এবং মোহাম্মদ সায়াদ হোসেন @ মোহাম্মদ সা’দ হোসেন @ সোহান মোল্লা @ শিহাব হোসেন।
এনআইএ স্পেশাল কোর্ট, আইজল, মিজোরাম, আইপিসি, ফরেনার্স অ্যাক্ট এবং ইউএ(পি) অ্যাক্টের বিভিন্ন বিধানের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করার পরে উভয়কেই পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি 10,000 টাকা জরিমানা বা এক মাসের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে। এই দুই জঙ্গি অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল এবং জাল ভারতীয় পরিচয় নথিতে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিল।
RC-11/2019/NIA-GUW কেসটিতে NIA তদন্তে বিভিন্ন ডিজিটাল নথির বিশ্লেষণ, জিহাদ প্রচারের জন্য বক্তৃতা, বোমা তৈরির হস্তলিখিত বিবরণের চিত্র উন্মোচন করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ১১টি মোবাইল ফোন ও ১৬টি সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, মাহমুদ হাসান তার হ্যান্ডলার মুনিরের নির্দেশে কাজ করছিল। তার মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা তথ্যে বেঙ্গালুরুতে গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক এবং ধর্মীয় স্থানের ফটোগ্রাফ দেখা গেছে। কর্নাটকের রাজধানী ও দেশের অন্যতম আইটি শিল্পের শহর বেঙ্গালুরুতে হামলার ছক করা হয়েছিল বলেই সন্দেহ।