সাম্প্রতিক প্রকাশ করা হয়েছে ‘মিসেস কানাডা’র (Mrs. Canda) ফাইনাল রাউন্ডের প্রতিযোগীদের। বিদেশীদের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন জলপাইগুড়ির মেয়ে ইলোরা। ইলোরা একজন প্রশিক্ষণ নেওয়া নৃত্যশিল্পী। বিবাহ সূত্রে বহু বছর ধরে কানাডায় রয়েছেন তিনি। ২০টি দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে বেছে নেওয়া হয়েছে তাকে। আগামী ২১শে জুলাই (21st July) অনুষ্ঠিত হবে ‘মিসেস কানাডা’র ফাইনাল রাউন্ড।
ইলোরা জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) নিউটউন পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। জলপাইগুড়ির রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়েও পড়েছেন তিনি। সেখান থেকে পাস করে ভর্তি হন আনন্দ চন্দ্র কলেজ। ইলোরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই ফ্যাশন এবং গ্ল্যামার জগৎ আকৃষ্ট করতো তাকে। তার স্কুল জীবনে বিশেষ অনুপ্রেরণা দেয় সুস্মিতা সেনের (Sushmita Sen) একজন বাংলায় মেয়ে হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স’ (Miss Universe) পদক জয়ের। বৈবাহিক সূত্রে ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দুবাইতে (Dubai) থাকতেন তিনি। তারপর স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন কানাডায় (Canada)।
ইলোরার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান প্রথমদিকে সাংসারিক চাপে কোনও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ না করলেও, মেয়ে বড় হয়ে গেলে এবং তার ফটোগ্রাফার বন্ধুর উৎসাহে মডেল (Model) হিসেবে কিছু ছবি তোলেন ইলোরা। সেই ছবিগুলি জনপ্রিয়তা পেলে আসতে থাকে একটার পর একটা মডেলিংয়ের প্রস্তাব। ইলোরার পছন্দের পোশাক শাড়ি। বিদেশে শাড়ি পড়ার সুযোগ কম হলেও একদিন তার কর্মক্ষেত্রে শাড়ি পড়ে গড়িয়ে প্রশংসা পান তিনি। ‘মিসেস কানাডা’য় কিছু রাউন্ডে শাড়ি পড়বেন বলে ঠিক করেছিলেন তিনি তবে পোশাক বিধি থাকায় পরা হয়ে ওঠেনি তার।
ইলোরার কাছে ‘বোল্ড’ কথাটির অর্থ “নিজের শর্তে বাঁচা, আত্মবিশ্বাসী হওয়া এবং নিজের একটা লক্ষ্য স্থির করে তাতে পৌঁছতে কোনও সামাজিক বাধা পেরোতে দ্বিধাগ্রস্থ না হওয়া।” তার মতে বোল্ড পোশাকে নয়, চরিত্রে হন মানুষ। তিনি জানিয়েছেন যে ” ‘বোল্ড পোশাক’ এর অর্থ এমন কিছু যেটা যিনি পড়ছেন তার তাতে মানানো এবং তার সেটা ক্যারি করতে পারা। ” সিনেমায় অভিনয়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন যে এখনও সেই বিষয়ে ভেবে দেখেননি তিনি। তবে সুযোগ পেলে অবশ্যই চেষ্টা করবেন ইলোরা। ইতিমধ্যে তার কাছে এসেছে মডেলিংয়ের বহু প্রস্তাব। ২১শে জুলাই ‘মিসেস কানাডা’র ফাইনাল। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইলোরা। এই প্রতিযোগিতা শেষ হলেই নতুন কাজের প্রস্তুতি শুরু করবেন তিনি। আপাতত মডেলিংকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ইলোরা।