অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ছিল এক তৃণমূল নেতা খুন হতে পারেন এমন পূর্বাভাস। লোকসভা ভোটের পরেই এমনই গুরুতর সত্য সামনে আনলেন শওকত মোল্লা। মঙ্গলবার একটি সভা থেকে এমনই কথা বলার পরেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। শওকত মোল্লা তোপ দেগেছেন আরাবুল ইসলামের প্রতি। শুধু তাই নয়, এইদিন তৃণমূল নেতা প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেছেন।
চটে লাল মমতা! স্পিকার নির্বাচনে ঘুরিয়ে সেই বিজেপি প্রার্থীকেই সমর্থন তৃণমূলের?
একটি সর্বভারতীয় বাংলা সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর সূত্র ধরে জানা গিয়েছে, আরাবুলের কাজকর্মে ক্ষুব্ধ ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন আরাবুল। প্রসঙ্গত ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। ভাঙড় কলেজ মাঠে তৃণমূলের সভা ছিল। সেখান থেকে আরাবুলের নাম নিয়েই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন শওকত। তৃণমূল বিধায়ক শওকতের দাবি, দিন দুয়েক আগে তিনি একটি চিঠি পান। তাতে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার একটি হিসাব পেয়েছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের টিকিট দেওয়ার নাম করে কারও কাছ থেকে ৬ লক্ষ, তো কারও কাছ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তোলা হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্য ২৫ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ সবের মূলে ছিলেন আরাবুল।
কল্যাণের ‘বকা’ খেয়ে পালিয়ে যাওয়া কাঞ্চন এখনও ভয়েই যাচ্ছেন না উত্তরপাড়ায়?
তাঁর আরও অভিযোগ,‘‘পঞ্চায়েত ভোটে অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। খুন হয়েছেন। আমি চেষ্টা করেছি, ওই সব পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর। নিজের পকেট থেকে টাকা দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু মাঝখানে খইরুলকে মার্ডার করতে হবে বলে পরিকল্পনা শুরু হয়। তখন আমরা কিছুই জানি না।’’ তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তিনি এই তথ্য পেয়েছেন খোদ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের কাছ থেকে।
মমতার মানভঞ্জনে মরিয়া রাহুল! লোকসভায় অভিষেকের সঙ্গে কথা
শওকত বলেন, ‘‘এক দিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে বললেন,‘খুব ভাঙড়ে নেতাগিরি করছ। ওখানে এক জন পঞ্চায়েত প্রধান আছেন, তাঁর স্বামীর নাম খইরুল ইসলাম। তাঁকে মার্ডার করার জন্য ১৮ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে।”এই ঘটনা সামনে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। তবে এই বিষয়ে আরাবুল ইসলামের ছেলে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এইদিন সভা শেষে তিনি আরও উল্লেখ করেন, অসামাজিক কাজের সঙ্গে আরাবুল যুক্ত হয়ে ভাঙড়ে তৃণমূলকে শেষ করে দিয়েছেন।