লোকসভার স্পিকার পদে এনডিএ প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ কে সুরেশ। তিনি ‘ইন্ডিয়া’ জোটেরও প্রার্থী। আর এতেই ক্ষুব্ধ ‘ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক তৃণমূল। জোড়া-ফুল শিবিরের অভিযোগ, স্পিকার পদে কে সুরেশ-কে প্রার্থী করার আগে তাদের দলের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করা হয়নি।
কে সুরেশকে প্রার্থী করার জন্য ‘ইন্ডিয়া’ ব্লকের তিন বড় দল মনোনয়নে সাক্ষর করেছে। সেই তালিকায় নেই তৃণমূল কংগ্রেস।
তাহলে কী অধিবেশন শুরুর আগে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের শরিকদের মধ্যে যে একতা দেখা গিয়েছিল তাতে ফাটল ধরল? তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিরোধী জোটের লোকসভার স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী দেওয়ার কথা তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। রাহুল গান্ধীর বক্তব্যের আগে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের মধ্যেও কোনও আলোচনা হয়নি। জোটগত স্তরেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
ইতিহাসের দোরগোড়ায় ওম বিড়লা, জিতলেই গড়বেন নজির!
তৃণমূল মুখপাত্র সান্তনু সেনের কথায়, ‘জোটের কোনও শরিক একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে।’
স্পিকার পদে কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশের মনোনয়নে সাক্ষর করেছে ডিএমকে, শিবসেনা ও এনসিপি (শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী)। এছাড়াও ‘ইন্ডিয়া’ জোটের একাধিক শরিক দল স্বাক্ষর করেছে।
লোকসভার রীতি ভাঙছে! স্পিকার নিয়ে শাসক-বিরোধী বৈঠক কেন ভেস্তে গেল?
ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস কে সুরেশকে সমর্থন করবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। দলীয় বৈঠকের পরই পুরো বিষয়টি স্থির হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং মঙ্গলবার ফোন করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। স্পিকার নির্বাচন নিয়েও এই ফোন বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত কোনও বড় পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এ ধরণের সৌজন্যমূলক ফোন করা হয়ে থাকে। মমতার কাছে ওম বিড়লার জন্য সমর্থন চেয়েই রাজনাথ ফোন করেছিলেন বলে খবর।
লোকসভায় এনডিএ-র নেতৃত্বাধীন বিজেপি ২৪০ আসন নিয়ে বৃহত্তম দল। শাসক এনডিএ-র সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে ৯৯ আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ২৩৩ জন সাংসদ রয়েছে।