বিজেপির (BJP) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক অব্যাহত। যদিও এবারের ঘটনাটা কিছুটা যে ব্যতিক্রম এবং বঙ্গ গেরুয়া শিবির যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। সোমবার সকলকে চমকে দিয়ে বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বিজেপির অফিশিয়াল গ্রুপ ত্যাগ করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে শান্তনুও ভাবনে শুরু করেছেন অন্য কিছু ?
এদিকে সূত্র মারফত খবর, মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ বিকেল পাঁচাটায় দলের আরও পাঁচ বিদ্রোহী বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করার কথা রয়েছে মতুয়া নেতার। সম্প্রতি বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক, যারা হলেন সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া, অসীম সরকার, অম্বিকা রায় এবং মুকুটমণি অধিকারীও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গেই শান্তনুর এই রুদ্ধদ্বার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে সেই বৈঠকেই কি তাঁরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে শেষ পেরেক মারতে চলেছেন?
এদিকে সোমবার বিজেপি-র গ্রুপ ছেড়ে বেরোনর পর শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘বঙ্গ বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্বের শান্তনু ঠাকুর বা মতুয়া সমাজের ভোট নিষ্প্রয়োজন। তাই আমারও ওই সব গ্রুপে থাকার দরকার নেই। সময়মতো সব জবাব দেব।’
তাঁর কথায় যে বিদ্রোহ বা ‘অভিমান’-এর সুর স্পষ্ট তা বলাই চলে। আরও প্রশ্ন উঠছে যে কেন ক্ষুব্ধ শান্তনু? বিশেষ সূত্র মারফত খবর, বিজেপি-র নতুন রাজ্য পদাধিকারীমণ্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকা। এমনকি শান্তনু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রাজ্য পদাধিকারীমণ্ডলীতে মতুয়া প্রতিনিধি আনার দাবি জানান। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁর দাবি মানা হয়নি বলে খবর।