বাঙালির প্রিয় ডেস্টিনেশন দিঘা। সপ্তাহান্তের সমুদ্রনগরীতে গিয়ে ছুটি উপভোগ যেন প্রাণের তৃপ্তি। আর সমুদ্র সৈকতে বসে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে গল্প-আড্ডা মনের আরাম। কিন্তু, এই সমুদ্র সৈকতই বেআইনি দখলদারিতে ভরে উঠেছে। ব্যহত হচ্ছে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যায়ন। তাই এবার পুরনো চেহারার সৈকত ফেরাতে অবৈধ হকার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
দিঘায় সমুদ্রপারে হকারদের ভিড় বাড়ছে। ফলে হাঁটার রাস্তাটুকু পান না পর্যটকরা। সৈকতে শুধু অস্থায়ী দোকান করে হকারি নয়, সমুদ্রের ধারে ঘুরে ঘুরেও বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করেন হকাররা। যা মাঝে মধ্যেই পর্যটকদের কাছে বিরক্তির হয়ে থাকে। বিষয়টি অজানা নয় জেলা প্রশাসনেরও। তাই এবার সমুদ্র সৈকত ও পাশের রাস্তা থেকে অবৈধভাবে তৈরি ঝুপড়ি, অস্থায়ী দোকান উচ্ছেদ অভিযানে নামল দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ।
রবিবার থেকেই দিঘা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে এই অভিযানে শুরু করেছে পর্ষদের আধিকারিকরা।
সপ্তাহের প্রথম দিনই ভোগান্তি শিয়ালদহ মেন শাখায়! জেনে নিন ভোগান্তির কারণ
জেলা প্রশাসন ও দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের তরফে হকারদের প্রতি বার্তা, দিঘার সমুদ্র সৈকতে আর কোনও অস্থায়ী দোকান রাখা যাবে না। ইতিমধ্যেই সৈকত বরাবর হকারদের উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বেঞ্চ নিয়ে বসে যারা ডাব কিংবা অন্যান্য জিনিসপত্র বিক্রি করেন, তাঁদেরও তুলে দেওয়া হয়েছে।
ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল সরকার রাজ্যের পর্যটন স্থানগুলোকে ঢেলে সাজাতে শুরু করে। ভোল পাল্টে গিয়েছে দিঘার। সমুদ্র নগরীকে আরও ভাল করে সাজাতে মরিয়া প্রশাসন। দিঘায় তৈরি হচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে মন্দির। উদ্বোধনের পর এই মন্দির দিঘার আরও এক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর রথে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত সৈকত ও রাস্তার দু’ধার দখলমুক্ত করতে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ উদ্যোগী।