‘বিজয়া’ ওয়েব সিরিজে তুলে ধরা হবে যাদবপুরের স্বপ্নদ্বীপের মৃত্যুর ঘটনা ? উত্তরে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

সম্প্রতি হইচই (Hoichoi) প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘বিজয়া’ (Bijoya) ওয়েব সিরিজের  টিজার (Announcement)। টিজারের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে গল্পে স্বস্তিকা একজন মা তাই তিনি নিজের সন্তানের…

সম্প্রতি হইচই (Hoichoi) প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে ‘বিজয়া’ (Bijoya) ওয়েব সিরিজের  টিজার (Announcement)। টিজারের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে গল্পে স্বস্তিকা একজন মা তাই তিনি নিজের সন্তানের হোক বা শুটিং ফ্লোরের ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের, সবারই একজন অভিভাবকদের মতো খেয়াল রাখেন। ৫ জুলাই (5th July) মুক্তি পাবে সিরিজটি। এই সিরিজে বিজয়ার ভূমিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় (Swastika Mukherjee)।

টিজারের প্রথম দৃশ্যে একজন মা এবং মফস্বল থেকে শহরে পড়তে যাওয়া এক পড়ুয়ার কথোপকথন শোনা যায়। স্বস্তিকা (Swastika Mukherjee) ছেলেকে ফোন করে অভিযোগ করেন যে যখনই তিনি ছেলের কাছে জানতে চাইলে “কলেজে আজ কি হলো ?” “আজ সারাদিন কি করলে?” “পরীক্ষা কেমন দিলে?” “খেয়েছো কিনা ?” তার সবেরই এক কথায় উত্তর দেয় ছেলে। এর পর ফোন রেখে দেন স্বস্তিকা। তবে ছেলেকে একটি ভয়েস মেসেজে পাঠান যেখানে তিনি ছেলেকে বলেন যে তিনি বর্তমানে কাজে ব্যস্ত রয়েছেন এবং শুটিং থেকে ফিরেই তিনি ছেলেকে আবার ফোন করবেন।

   

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকার অভিনেত্রীকে জিগেস করা হয় যে এই সিরিজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) স্বপ্নদ্বীপ কুন্ডুর (Swapnadip Kundu) মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে কিনা। অভিনেত্রী জানান যে ‘বিজয়া’ এর কাহিনীতে রয়েছে একজন মায়ের লড়াই, তার সন্তানের প্রতি বিচার চেয়ে তাই, তাই স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুরের ঘটনাটি দর্শকের মনে পড়ে যেতে পারে। সিরিজের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মফস্বল থেকে আসা বাবা-মাদের সন্তানের বিচার চেয়ে সংগ্রাম করার কাহিনী তুলে ধরা, কারণ অনেক ক্ষেত্রেই এই ধরণের ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তিনি হইচই প্লাটফর্মকে ধন্যবাদ দেন এই ধরণের সিরিজের পরিকল্পনা করার জন্য।

তার ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে অভিনেত্রী বলেন যে তার মা এবং বাবা (Santu Mukherjee) চলে যাওয়ার পর তার মেয়ে যখন ২০২১-২০২২ সালে বাইরে পড়তে যায় , প্রথম তিন-চারটে মাস তাকে খুবই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। একা বাড়িতে থাকা কালীন তাকে থেরাপিও নিতে হয়েছিল বলে জানান অভিনেত্রী (Swastika Mukherjee)। তবে পরে তিনি বুঝতে পারেন যে যেহেতু তিনি সব সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে থেকেছেন, এবং কোনওদিন বাইরে পড়তে না চাকরি করতে যাননি তাই এই পরিস্থিতি মেনে নিতে তার অনেকদিন সময় লেগেছিল।

স্বস্তিকা জানিয়েছেন যে তার অভিনীত চরিত্র, বিজয়া নৈহাটির সাধারণ গৃহবধূ। চরিত্রটিকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে তিনি গায়ে আঁচল দিয়ে সাদা শাড়ি পড়েছেন। হাঁটাচলার মধ্যে শহুরে ভাব কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী। এই সাক্ষাৎকারে দেশের বিচার ব্যবস্থাকেও সমালোচনা করেছেন তিনি। স্বস্তিকা বলেন যে কিছু হলেই সবাই আদালতে গিয়ে কেস করার কথা বলেন তবে দেশে আইনি লড়াই দীর্ঘমেয়াদি হয়। সেই পরিস্থিতিতে পুত্রশোক ভুলে, আইনি লড়াইকেই প্রাধান্য দিতে হয়েছে স্বপ্নদ্বীপের বাবাকে, তবে তিনি পাশে পাননি কাউকেই।

সর্বশেষে স্বস্তিকা জানিয়েছেন যে সমাজমাধ্যমে লেখার পরিবর্তে ভিস্যুয়াল মিডিয়াম এর মাধ্যমেই প্রতিবাদ জানতে চান তিনি। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী তবে এই সিরিজে ঘটনার শিকার পড়ুয়ার মায়ের ভূমিকায় রয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী আশাবাদী যে যতবার ‘বিজয়া’-র প্রসঙ্গ উঠবে ততবার স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনাটা মনে পড়বে দর্শকের ।