ব্রিটিশদের দ্বি-ধারা রাজনীতিতেই ক্ষমতার অদল-বদল হয়। সেই ধারা মেনে আসন্ন নির্বাচনে ইংল্যান্ড (ব্রিটেন) দখল করতে চলেছে লেবার পার্টি। নির্বাচন (UK Election 2024) পূর্ববর্তী সমীক্ষাগুলির স্পষ্ট বার্তা ক্ষমতা হারাচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি। প্রাক নির্বাচনী বিশ্লেষণের সারমর্ম এই দুই দলের ভোট লড়াইয়ের বাইনারি বজায় থাকছে। তাৎপর্যপূর্ণ এবারের নির্বাচনে তৃতীয় শক্তির বড়সড় উত্থান হবে।
সমীক্ষায় ক্ষমতার লড়াইয়ে ভরাডুবি হতে চলেছে কনজারভেটিভ দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের। প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে সুনাক নজির রেখেই বিদায় নিতে চলেছেন।
সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনে ঋষি সুনাক হতে যাচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী যিনি নিজ আসনে হারতে যাচ্ছেন। নির্বাচনে তীব্র আলোচিত হচ্ছেন এক বঙ্গললনা টিউলিপ সিদ্দিক।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত টিউলিপ সিদ্দিক বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৌত্রী। তাঁর মা বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানা। টিউলিপের নিজের মাসি শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। লেবার পার্টির হেভিওয়েট নেত্রী টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিসভায় আসতে চলেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ব্রিটেনের রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টসের ফেলো টিউলিপ রেজোয়ানা সিদ্দিক জন্মসূত্রে ব্রিটিশ নাগরিক। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান টিউলিপের জন্ম লন্ডনে। তিনি লেবার পার্টির হেভিওয়েট সাংসদ। ২০১৫ সালে এই আসন থেকে প্রথমবার পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হয়ে রাজনীতি করছেন টিউলিপ।
সমীক্ষায় উঠে আসছে, নির্বাচনে ৬৫০ আসনের হাউস অব কমন্সে লেবার পার্টি ৫১৬টিতে জয় পেতে পারে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ৩৮২টি আসন। লেবার পার্টির নেতা কেইর স্টারমার নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।
সমীক্ষা অনুসারে ক্ষমতা হারাতে চলা কনজারভেটিভ পার্টি মাত্র ৫৩টি আসনে জয়ী হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের নির্বাচন পূর্ববর্তী সমীক্ষায় এমন বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। আসন সংখ্যার হিসাবে ব্রিটেনের আইনসভায় অন্তত ৫০ আসনে জয়ী হতে পারে লিবারেল ডেমোক্র্যাট দল। আরও বলা হয়েছে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান বিরোধী দল হতেও পারে।
তীব্র বিতর্কিত পরিস্থিতিতে ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হন। করোনা সংকটের সময় ততকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দূরত্ব বিধি ভেঙেছিলেন বলে অভিযোগ। কনজারভেটিভ পার্টি তাঁকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়। জনসন পদত্যাগ করেন। সাময়িক সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন লিজ টরাস। তিনিও বিতর্কিত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করেন। এরপর ঋষি সুনাক হন প্রধানমন্ত্রী।