বাতিল NET পরীক্ষা, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির বাইরে তুমুল বিক্ষোভ, গ্রেফতার

ইউজিসির নেট (NET Exam) পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আর এই ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করে দিয়েছে রীতিমতো। মঙ্গলবার…

ইউজিসির নেট (NET Exam) পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। আর এই ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন জ্বলতে শুরু করে দিয়েছে রীতিমতো। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রকের উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে কর্মরত স্বশাসিত সংস্থা এনটিএ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালাইসিস ইউনিট জালিয়াতির ইঙ্গিত দেওয়ার পরে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইউজিসি-নেট পরীক্ষা নতুন করে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক। সরকারের মতে, পরীক্ষায় অনিয়মের মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের (Dharmendra Pradhan) বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন।

   

ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়ার সদস্যরা NEET এবং ইউজিসি-নেট ইস্যুতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের দিল্লির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। যদিও পরে পুলিশ এসে সকলকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে তুলে নিয়ে যায়। এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বত্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্তকে তুলোধনা করেছে বিরোধীরা।

শিক্ষা মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি অনুসারে, এনটিএ দেশের বিভিন্ন শহরে ওএমআর মোডে দুটি পর্যায়ে ১৮ জুন, ২০২৪ তারিখে ইউজিসি-নেট পরীক্ষা পরিচালনা করেছিল। গত ১৯ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের (আইফোরসি) ন্যাশনাল সাইবার ক্রাইম থ্রেট অ্যানালাইসিস ইউনিটের কাছ থেকে পরীক্ষার জন্য ইনপুট পায় ইউজিসি। এই তথ্যগুলি প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত দিয়েছিল যে পরীক্ষার অখণ্ডতার সাথে আপস করা হতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “পরীক্ষা প্রক্রিয়ার সর্বোচ্চ স্তরের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য, শিক্ষা মন্ত্রক ইউজিসি-নেট জুন ২০২৪ পরীক্ষা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। যার জন্য আলাদাভাবে তথ্য শেয়ার করা হবে। একই সঙ্গে মামলার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য মামলাগুলি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।”