সাহাল আব্দুল সামাদ (Sahal Abdul samad), অনিরুধ থাপা (Anirudh Thapa) ছিলেন। এবার হয়তো আপুইয়াকেও (Apuia) সই করিয়ে নিতে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan)। আপাতত সবুজ মেরুন ব্রিগেডে আপুইয়ার আগমন সম্ভাবনা প্রবল বলেই মনে করা হচ্ছে। আপুইয়াকে মোহনবাগান নিশ্চিত করতে পারলে সেটা হবে বিরাট খবর। খাতায় কলমে বাগানের মাঝমাঠ হয়ে উঠবে ‘রক সলিড’।
Apuia: আপুইয়ার জন্য কোটি টাকার অফার! কিন্তু পারফরম্যান্স কেমন তাঁর?
ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপুইয়া ৯১ টি ম্যাচ খেলে করেছেন ৫ গোল, দু’টি গোল করানোর ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন সরাসরি। ম্যাচ প্রতি নিখুঁত পাস করেছেন ৮৫ শতাংশ। ম্যাচ প্রতি গড়ে বাড়িয়েছেন ৪২ টি পাস। খেলা তৈরি করার পাশাপাশি নিজেও সরাসরি আক্রমণভাগে অবদান রাখতে পারেন। ১৬টি শট অন টার্গেট।
রিকোভারি, ইন্টারসেপশন ,ক্লিয়ারেন্স অর্থাৎ প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামানোর ব্যাপারেও সমান দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে বলা চলে অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মেলে ধরেছেন আপুইয়া। লাল কার্ড না দেখলেও ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দেখেছেন ১২টি হলুদ কার্ড।
আপুইয়ার মতো সাহালকেও মাঝমাঠের বিভিন্ন পজিশনে খেলাতে পারবেন কোচ। গত মরসুমে লোপেজ হাবাস তাঁকে তুলে এনেছিলেন ওপরের দিকে। অনেকটা ‘ফ্রি’ ফুটবলার রোলে খেলেছিলেন সাহাল। তাতে আরও ধারালো হয়েছিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের আক্রমণভাগ। সাহালের ম্যাচ প্রতি নিখুঁত পাস করেছেন ৭৬ শতাংশ। করেছেন ১২ টি গোল। করিয়েছেন ১২ টি গোল।
Roy Krishna নিজে গোল করলেন, অন্যকে দিয়ে করালেন
অনিরুধ থাপা খেলেত মূলত ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে। আক্রমণভাগের জন্য কার্যকর হতে পারে তাঁর পাসিং দক্ষতা। থাপা ৭৯ শতাংশ পাস বাড়িয়েছেন নিখুঁতভাবে। ১০ টি গোল করেছেন ও ৯ টি গোল করিয়েছেন। ফর্মে থাকলে মিডফিল্ডে কার্যকর ভূমিতে নিতে পারবেন। লোপেজ হাবাস দায়িত্বে আসার পর প্রথম একাদশে নিজের জায়গা হারিয়েছিলেন। পরে নিজেকে আবার প্রমাণও করেছিলেন থাপা।