কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়ায় প্রবল বিস্ফোরণ। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন (Vladimir Purin) উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং সফর করার কয়েক ঘণ্টা আগে অসামরিক অঞ্চল বা ডিমিলিটারাইজড জোনে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ বলা হয়। এই বিস্ফোরণে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত ও জখম হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
১৯৫০-১৯৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধ শেষে কোরিয়া দুই অংশে ভাগ হয়। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া দুই উপদ্বীপকে আলাদা করা ৪ কিলোমিটার প্রশস্ত ভূমিতে ল্যান্ডমাইন বিছিয়ে দেওয়া হয়। অনুপ্রবেশ রুখতে এমন করা হয়েছিল। সেখানেই বিস্ফোরণ হয়। ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে আহত উত্তর কোরিয়ার সেনা সীমান্তে অতিরিক্ত মাইন বিছানোর কাজ করছিল। এই অঞ্চলে বারবার ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
তাৎপর্যপূর্ণ, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সফরের আগেই উত্তর কোরিয়ায় হল বিস্ফোরণ। তবে এ বিষয়ে কিম জং উনের সরকার নীরব। তবে উত্তর কোরিয়ার তরফে বলা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের থাকার জন্য বিশেষ নিরাপত্তায় গেস্ট হাউসের ব্যবস্থা আছে। ২৪ বছর আগে তিনি যখন প্রথমবার এসেছিলেন তখন সেই গেস্ট হাউসেই ছিলেন। সবশেষ ২০০০ সালে তিনি গেছিলেন। তখন কিম জং ইল ছিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক। এখন তাঁর পুত্র কিম জং উন শাসক।
চিন ও রাশিয়ার মত দুই শক্তিশালী পরমাণু শক্তির দেশের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে পূর্ব এশিয়ার মার্কিন মিত্র দেশগুলি আতঙ্কিত। কারণ, কিম জং উনের হুঙ্কার ও মিসাইল প্রীতি।
রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের সফরের মধ্য দিয়ে রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা বিষয়ক একটি অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর হতে পারে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধে পুতিনের প্রয়োজন সমরাস্ত্র সহায়তা। তাই তিনি উত্তর কোরিয়ায় সফরে যাচ্ছেন। যা বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
গত সেপ্টেম্বরে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন তার সাজোয়া ট্রেনে রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলে ভ্রমণ করেন। ওই ভ্রমণে কিম রাশিয়ার একটি কারখানায় যান যেখানে যুদ্ধবিমান তৈরি করা হয়।