গতবারের তুলনায় এবার অনেকটাই শক্তিশালী হয়ে উঠছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। নতুন সিজনে দেশীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের যোগ্যতা অর্জন পর্বে অংশ নেবে দল। আগামী ১৪ আগস্ট নিজেদের ঘরের মাঠে তাদের লড়াই করতে তুর্কমেনিস্থানের ক্লাব আল্টাইন আশিরের মুখোমুখি হতে হবে তাদের।
এই ম্যাচে জয় পেলেই এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগের টায়ার টুয়ের গ্রুপ পর্বের যোগ্যতা অর্জন করবে দল। এখন সেদিকেই নজর রয়েছে লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের। উল্লেখ্য, এবার বদলার লড়াই হতে চলেছে এই স্প্যানিশ বসের কাছে।
পূবে এই দলের কাছে পরাজিত হয়েই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল কুয়াদ্রাতের। কিন্তু এবার নিজের সেরা একাদশ নিয়ে বদলা নেওয়াই অন্যতম লক্ষ্য। যারফলে, বেশকিছু বদল আসতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াডে। শেষ মরশুমে দলের আক্রমনভাগের অন্যতম ভরসা ছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ক্লেটন সিলভা। তবে এবার দলের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে গ্রীক ফুটবলার দিমিত্রওস ডায়মান্টাকোসকে। সেইসাথে দেশীয় স্কোয়াডকে শক্তিশালী করতে আনা হয়েছে ডেভিড লালানসাঙ্গাকে। এরফলে নতুন সিজনে অনেকটাই শক্তিশালী হবে দলের আক্রমণভাগ।
উল্লেখ্য,গত সিজনে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অনবদ্য পারফরম্যান্স ছিল দিমিত্রিওসের। তাই অনায়াসেই জিতে নিয়েছিলেন গোল্ডেন বুট। নতুন সিজনের কথা মাথায় রেখে তাকে মুম্বাইয়ের মত শক্তিশালী দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করে মশাল ব্রিগেড। কিন্তু সেখানেই শেষ নয়,আইলিগ জয়ী দল থেকে তরুণ ফুটবলার ডেভিড ও আনা হয়েছে এই স্কোয়াডে। গত কলকাতা লিগের পাশাপাশি ডুরান্ড কাপেও সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে হয়েছিলেন এই মিজো ফুটবলার।
তাই অনায়াসেই গোল্ডেন বুট চলে আসে তার ঝুলিতে। অর্থাৎ এবার দুই টপ স্কোরারকে সামনে রেখেই দল সাজাচ্ছে ইমামি ইস্টবেঙ্গল। গোলের খরা কাঁটাতে এবার তাদের উপরেই ভরসা রেখেছে ম্যানেজমেন্ট। যা নিঃসন্দেহে চিন্তায় ফেলে দিতে পারে প্রতিপক্ষ দলগুলিকে।