‘একুশ শতকের ইন্দিরা গান্ধী’, প্রিয়াঙ্কা ভোটে দাঁড়াতেই আবেগবিহ্বল নেটিজেনরা

সালটা ২০১৯। রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সেই সময় নেটিজেনরা তাঁকে ‘একুশ শতকের ইন্দিরা গান্ধী’ বলে অভিহিত করেছিলেন। আজ কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রের প্রার্থী…

Indira Priyanka 'একুশ শতকের ইন্দিরা গান্ধী', প্রিয়াঙ্কা ভোটে দাঁড়াতেই আবেগবিহ্বল নেটিজেনরা

সালটা ২০১৯। রাজনীতির ময়দানে নেমেছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সেই সময় নেটিজেনরা তাঁকে ‘একুশ শতকের ইন্দিরা গান্ধী’ বলে অভিহিত করেছিলেন। আজ কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে প্রিয়াঙ্কার নাম ঘোষিত হতেই নেটদুনিয়ায় শুভেচ্ছার (Priyanka Gandhi) বন্যা বয়ে গিয়েছে। অনেকেই, ঠাকুমা তথা ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা টানছেন প্রিয়াঙ্কার।

স্বাধীনতা-উত্তর পর্বে ভারতের প্রবাদপ্রতীম রাজনীতিবিদদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৭ এবং পুনরায় ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। আর প্রিয়াঙ্কা ২০১৯ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তার প্রায় পাঁচ বছর পর এবার ভোটের ময়দানে নামতে চলেছেন ইন্দিরার নাতনি।

   

ওয়েনাড থেকে এবার প্রার্থী হচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এবারের লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি এবং কেরলের ওয়েনাড থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। দু’জায়গাতেই বিপুল ভোটে জয়ী হন রাহুল। তিনি কোন আসনটি ছেড়ে দেবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছিল।

বড় চমক! ওয়েনাড থেকে প্রার্থী হচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী

অবশেষে সোমবার সন্ধ্যায় কংগ্রেসের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল, কেরলের ওয়েনাড কেন্দ্রটি ছেড়ে দিচ্ছেন রাহুল। ওই আসনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়বেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। রাহুল গান্ধী আসনটি থেকে ইস্তফা দিলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হবে ওয়েনাডে।

1635728579 indira priyanka 'একুশ শতকের ইন্দিরা গান্ধী', প্রিয়াঙ্কা ভোটে দাঁড়াতেই আবেগবিহ্বল নেটিজেনরা
ঠাকুমা ইন্দিরার সঙ্গে নাতনি প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এদিন বলেন, ওয়েনাডের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি খুব খুশি। ওয়েনাডবাসীকে আমি রাহুল গান্ধীর অনুপস্থিতি অনুভব করতে দেব না। আমি কঠোর পরিশ্রম করব। সবাইকে খুশি করার এবং একজন ভালো জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

একই সঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী আরও বলেন, রায়বরেলি এবং অমেঠির সঙ্গে আমার খুব পুরানো সম্পর্ক রয়েছে এবং এটি কোনওভাবেই ভেঙে যাবে না। রায়বরেলিতে আমি আমার ভাইকেও সাহায্য করব। আমরা দু’জনেই রায়বরেলি ও ওয়েনাডে উপস্থিত থাকব।

রাহুলের রণেভঙ্গ? হাজার জোড়াজুড়িতেও এড়ালেন বড় দায়িত্ব

অন্যদিকে রাহুল গান্ধী বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছেন এবং আমি আত্মবিশ্বাসী যে উনি নির্বাচনে জিততে চলেছেন। ওয়েনাডবাসী ভাবতেই পারেন যে তাঁদের দুজন পার্লামেন্ট সদস্য আছে, একজন আমার বোন আর অন্যজন আমি। ওয়েনাডের মানুষের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা।

কেরল কংগ্রেসের সভাপতির মতে, ওয়েনাডের পরিবর্তে রাহুল রায়বরেলিকে বেছে নেওয়ার অন্যতম কারণ, তাঁর রাজনৈতিক ব্যস্ততা আগামী দিনে আরও বাড়বে। স্বভাবতই দিল্লি থেকে কাছে রায়বরেলির সাংসদ থাকা তাঁর জন্য সহজ হবে। গত পাঁচ বছর ওয়ানাডের সাংসদ হিসাবে তিনি এলাকার জন্য যথেষ্ট করেছেন।

পারিবারিক ঘাঁটিতে জয় পেতেই ‘দুঃসময়ের আশ্রয়’ ওয়ানাডকে বিদায় রাহুল গান্ধীর

রাহুল গান্ধী রায়বরেলির সাংসদ থেকে যাওয়ার নেপথ্যে অনেক বেশি কাজ করবে উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি লোকসভার সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্কের বিষয়টি। মা সনিয়া রায়বরেলি থেকে চারবার জিতে লোকসভায় গিয়েছেন।

এছাড়া রাহুলের ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী রায়বরেলি থেকে জিতে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। ফলে রায়বরেলির সাংসদ থাকাটা রাহুলের জন্য অনেক বেশি রাজনৈতিক বার্তাবহ সিদ্ধান্ত হবে। একই সঙ্গে তিনি বিরোধী দলনেতা হলে আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁর নাম সামনের সারিতে থাকবে।