প্রথমে টার্গেট ছিল ‘৩৫’ (BJP Core Committee Meeting)। তারপর সেটা কমে হল ‘৩০’। তারপর মাঝে মাঝে অমিত শাহ এবং বঙ্গ বিজেপির নেতাদের গলায় শোনা যেতে শুরু করলো ‘২৫’। কিন্তু লোক সভার ফল বের হওয়ার পর দেখা গেল ‘২৫’ এর অর্ধেকও হলো না। ১২টি আসন নিয়েই খুশি থাকতে হলো (BJP Core Committee Meeting) পদ্ম ব্রিগেডকে। এবার বঙ্গ বিজেপির এই ১২টা বেজে যাওয়ার আসল কারণের ময়নাতদন্ত করতে বৈঠকে বসেছিলেন বিজেপি বঙ্গ নেতৃত্ব।
বলা যেতে পারে, কার্যত শুভেন্দু অধিকারীর অধিনায়কত্বেই লোকসভা নির্বাচনের এই মহাম্যাচ খেলতে নেমেছিল বঙ্গ বিজেপি। অথচ ম্যাচে হারের পর টিম মিটিংয়ে খোদ অধিনায়ক তথা বিরোধী দলনেতাই অনুপস্থিত। কিন্তু অধিনায়কহীন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিগত কয়েকদিনে, তিনি তার দলের এবং তার নিজের হার নিয়ে বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কিন্তু এই রুদ্ধদ্বার মিটিংয়ে তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে কি কি বলেছেন, তা ঠিকঠাক জানা যায়নি। ঠিক যেভাবে জানা যায়নি লকেট বা অগ্নিমিত্রার হারের কারণ হিসাবে তাদের নিজেদের বক্তব্য। তবে সুত্র মারফৎ যেটা জানা গিয়েছে, হারের কারণ হিসেবে তারা কাঠগড়ায় তুলেছেন সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই।
আপাতত যা রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে, তাতে হারের ময়না তদন্তে সমীক্ষাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। এবার সাংগঠনিক স্তরে বিজেপি বিশেষ সমীক্ষা চালাবে হারের কারণ জানার জন্য। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির পাঁচটি সাংগঠনিক জোন আছে। উত্তরবঙ্গ, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ, কলকাতা এবং হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর। জানা গিয়েছে, কারণ জানতে জোনভিত্তিক আলাদা করে সমীক্ষা চালানো হবে। জোন ধরে ধরে আলাদা বৈঠক হবে। সেখানে সেই জোনের লোকসভা আসনের সমস্ত প্রার্থীদেরও ডাকা হবে।
শুভেন্দুকে ছাড়াই বঙ্গ বিজেপির কোর কমিটির বৈঠক, দলে কি গুরুত্ব কমছে বিরোধী দলনেতার?
সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদেরও সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে । এছাড়াও প্রত্যেকটি বিধানসভা এবং লোকসভার ইনচার্জরা থাকতে পারেন সেই বৈঠকে। সেই বৈঠকেই ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে। অবশ্য এই সব বৈঠকের দিনক্ষণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর ব্যবস্থাপনাতে এই সব বৈঠক হবে।
একাই ১৮০টির উপরে জনসভা, একাধিক সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি এযাত্রায়। যদিও কয়েকটি কেন্দ্রের নির্বাচনকে নিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার কথা ঘটা করে ঘোষণা করেছেন তিনি। কিন্তু এমন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের দিন শুভেন্দুর উত্তরবঙ্গের সফরে যাওয়া যথেষ্টই সন্দেহজনক ঠেকেছে রাজনৈতিক মহলের কাছে। অপরদিকে সমীক্ষা করিয়েও সাংগঠনিক দুর্বলতাকে বাগে আনা যাবে কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে খোদ বঙ্গ বিজেপির অভ্যন্তরেই।
টনক নড়েছে! ‘অভিমানী’ দিলীপ ফের আসরে নামছেন?