উপরে মেঘের গর্জন। নিচে তিস্তার রূদ্র রূপ। প্রকৃতির ভয়াল সাঁড়াশি চাপে হাজার হাজার পর্যটক তীব্র আশঙ্কিত। ধসের কারণে সিকিমবাসী প্রায় বিচ্ছিন্ন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঝুঁকি নিয়েই আটকে পড়া ২ হাজারের বেশি পর্যটক উদ্ধার অভিযানে নামছে সিকিম সরকার। রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। আর রবিবারই আবহাওয়া বিভাগ দিল সিকিমে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা (IMD Alert)। ফের আশঙ্কায় আটকে থাকা পর্যটকরা।
আবহাওয়া বিভাগ (IMD) এবং সিকিম রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (SSDMA) গ্যাংটক, গ্যালশিং, পাকিয়ং এবং সোরেং-এর বিচ্ছিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন ও আবহাওয়ার বুলেটিনগুলি নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে।
সিকিম সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে মঙ্গন জেলায় রাস্তা ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্নের কারণে আটকে পড়া 1,200 জনের বেশি পর্যটককে 16 জুন রবিবার সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। বিবৃতিতে বলা হয়, আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে লাচুং থেকে পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হবে এয়ারলিফ্ট এবং সড়কপথে। মাধ্যমে।
সিকিমের পর্যটন ও অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী শেরিং থেন্দুপ ভুটিয়া পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়ার সমন্বয় করবেন। রাজ্য পর্যটন ও অসামরিক বিমান চলাচল সচিব সিএস রাও জানান, 15 জন বিদেশি সহ প্রায় 1,215 পর্যটক গত এক সপ্তাহ ধরে লাচুং শহরে আটকে পড়েছে কারণ অবিরাম বর্ষণে মঙ্গন জেলার সড়ক ও যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিপর্যস্ত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
দুর্যোগের কারণে তিস্তার জলস্তর বাড়ছে। সিকিম থেকে তিস্তার নিম্ন অববাহিকা অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অংশে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিস্কার মোহনা অঞ্চল বাংলাদেশে।