নিট পরীক্ষার ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, যা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিট ‘দুর্নীতি’র নিন্দা করে জানিয়েছেন, মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা ফের রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। আমাদের রাজ্যের শিক্ষক দুর্নীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে, তদন্ত হয়েছে, গ্রেফতারও হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের এই নিট পরীক্ষা, যা সারা ভারতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সম্মানের, সেটার ক্ষেত্রে যা হল, তা গোটা দেশ দেখছে। এই ঘটনায় কোনও তদন্ত হবে না? সিবিআই বা ইডি মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমার মনে হয়, কেন্দ্রীয় সরকারকেই পরীক্ষাটি রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।’
‘দিল্লির বাংলো ছাড়বেন না’, অধীরকে বড় ইঙ্গিত কংগ্রেস হাইকমান্ডের
সপ্তাহের শেষ হল না, আবারও ট্রেন বাতিল শিয়ালদহে, মাথায় হাত যাত্রীদের!
২০১৩ সাল থেকে নিট পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বভারতীয় স্তরে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি শুরু হয়েছে। তার আগে রাজ্যের বোর্ডগুলি পৃথকভাবে মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষা নিত। সেই পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতেন। কিন্তু ২০১৪-২০১৫ সালেও এই ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি, কারণ বিভিন্ন বোর্ডের আপত্তি ছিল। ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্থির হয়, সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দাবি, রাজ্যের হাতে পরীক্ষা ফিরিয়ে দেওয়া হলে এই ধরণের কারচুপি এড়ানো সম্ভব হবে। তাঁর কথায়, ‘নিট পরীক্ষার কারচুপির অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার প্রমাণ। এর জন্য সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিত।’