শারদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরে এবং পৃথ্বীরাজ চহ্বান- ‘মহা বিকাশ আঘাদি’র নেতারা শনিবার মুম্বাইতে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানেই সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জোটকে সমর্থন করার জন্য মহারাষ্ট্রের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন!
শরদ পাওয়ারের কথায়, ‘প্রধানমন্ত্রীর রোডশো, সমাবেশ যেখানেই হয়েছে, সেখানেই আমরা জিতেছি। এই কারণেই আমি প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানো আমার কর্তব্য বলে মনে করি। আমরা এমভিএ-এর পক্ষে রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাই।’
বিরাট বিপদে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ, নতুন মামলা করল CBI
মহারাষ্ট্র হল সেই তিনটি রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং এনডিএ বড় ধাক্কা খেয়েছে। শিবসেনা এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি বিভক্ত হওয়ার পর এই প্রথম বিজেপি শিণ্ডে ও অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে লোকসভা ভোট লড়েছিল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৩টি আসনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে মাত্র ৯টি আসনে জিততে পেরেছে।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের তথ্যে দেখা গিয়েছে যে, মোদী যে সমস্ত আসনে প্রচার করেছিলেন তার বেশিরভাগ আসনেই এনডিএ জয়লাভ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোদী মহারাষ্ট্রের ১৮টি লোকসভা আসনে একাধিক জনসভা এবং একটি রোড শো করেছেন। এনডিএ এই আসনগুলির মধ্যে ১৫টিতেই হেরেছে।
তিন আসনে বিরাট মার্জিনে এগিয়ে বিজেপি, উপনির্বাচন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে!
জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি – শরদচন্দ্র পাওয়ারের ভাগ্নে অজিত পাওয়ারকে তাঁর দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
এদিকে বিজেপির প্রতি নরম মনোবাবের জল্পনা উড়িয়ে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা উদ্ধব ঠাকরে ঘোষণা করেছেন যে, এমভিএ জোট আগামী মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে একসঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। উদ্ধবেরও ঘোষণা, ‘যারা আমাকে ছেড়ে গিয়েছে (শিণ্ডে শিবিরে) তাদের দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।’
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা পৃথ্বীরাজ চহ্বানের দাবি, জোটে বড় বা ছোট কোনও ভাই নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি বিধানসভা আসন বিবেচনা করে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমাদের প্রাথমিক আলোচনা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে।’