প্রদেশ সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীর ইস্তফার সিদ্ধান্ত নাকচ করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তবে, বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদকে এবার আরও বড় দায়িত্ব দিতে আগ্রহী সনিয়া, রাহুলরা। সূত্রের খবর, অধীর চৌধুরীকে এবার জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় করতে চাইছে এআইসিসি। এ জন্যই হয়তো অধীরকে দিল্লির সরকারি বাংলো ছাড়তে নিষেধ করেছে দল।
৯ জুন বসেছিল কংগ্রেস কর্মসমিতির বৈঠক। সেখানেই নাকি অধীর চৌধুরীকে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ‘আপনি দিল্লির বাংলো ছাড়বেন না।’
সাংসদ হিসাবে এতদিন দিল্লিতে সরকারি বাংলো পেতেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু এবারের লোকসবা ভোটে নিজের ‘দুর্গ’ বহরমপুরেই পর্যদুস্ত হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সম্মানের লড়াই হেরেছেন তৃণমূলের ইউসুফ পাঠানের কাছে। ফলে আর সরকারি বাংলো পাওয়ার কথা নয় তাঁর। নিয়ম অনুযায়ী, দ্রুতই ওই দিল্লির বাংলো খালি করতে হবে অধীরকে। কিন্তু জানা গিয়েছ, হাত শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাকি তাঁকে বাংলো না ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিরাট ধাক্কা খেল তৃণমূল! নিশীথের একটা চালে ঘুম উড়েছে শাসকদলের
গত ৮ জুন দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে বসেছিল। এই কমিটির সদস্য অধীর চৌধুরী। সেখানেই তাঁকে প্রদেশ সবাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে নিষেধ করেছে হাইকমান্ড। একই সঙ্গে নাকি তাঁকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, অন্য কোনও রাজ্য থেকে জিতিয়ে রাজ্যসভায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
জোটে জট, ফরওয়ার্ড ব্লকের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লোকসভার ‘বদলাপুর’ উপনির্বাচনের বাগদা
কংগ্রেস সূত্রে খবর, লোকসভা ভোটের রাজ্যওয়াড়ি ফল বিশ্লেষণ করে হারের কারণগুলি চিহ্নিত করতে আলাদা কমিটি গড়বেন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। যেসব রাজ্যে খারাপ ফল হয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতে ভোটের ফল পর্যালোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। বঙ্গে ভোট বিপর্যয়ের পর্যালোচনা করতে আগামী ২১ জুন মৌলালি যুব কেন্দ্র বৈঠক ডাকা হয়েছে।