সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের ‘প্রকৃত সেবক’ মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছিল পদ্ম নেতৃত্ব। তারপর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। প্রশ্ন উঠেছিল যে, তাহলে কী বিজেপি আরএসএসের সম্পর্কে চিড় ধরেছে? খোঁচা মারতে ছাড়ছিল না বিরোধী শিবিরও। কিন্তু, আপাতত দমবন্ধকর সেই বিতর্ক থামার পথে। ‘চিড়’ প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া আরএসএস-য়ের এক সূত্র জানিয়েছে যে, বিজেপির সঙ্গে সঙ্ঘের সম্পর্কে কোনও ফাটল ধরেনি। পুরটাই ‘অমূলক’ জল্পনা।
গত সোমবার নাগপুরে এক অনুষ্ঠানে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘একজন সত্যিকারের সেবক মর্যাদা বজায় রাখে। কাজ করার সময় তিনি নীতি অনুসরণ করেন। আমি এই কাজটি করেছি- এটা বলার মতো অহংকার তাঁর নেই। একমাত্র সেই ব্যক্তিকেই প্রকৃত সেবক বলা যায়।’
তিন আসনে বিরাট মার্জিনে এগিয়ে বিজেপি, উপনির্বাচন নিয়ে চিন্তার ভাঁজ তৃণমূলের কপালে!
বিতর্কিত এই মন্তব্য প্রসঙ্গে আরএসএস সূত্র জানিয়েছে যে, ‘২০১৪ ও ২০১৯ লোকসভা ভোটের পরে তিনি (মোহন ভাগবত) যা যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন তার থেকে এবারের বক্তৃতার খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। ভোটের ফল পরবর্তী যে কোনও ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনার উল্লেখ করতে তিনি বাধ্য। তবে সেটির ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোহন ভাগবতের অহংকার মন্তব্যটি কখনওই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা বিজেপির কোনও নেতার উদ্দেশে করা হয়নি’
ভাগবতের পর আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারও গত বৃহস্পতিবার জয়পুরে বলেছিলেন যে, ‘২০২৪ সালে গণতন্ত্রের উৎসবের মাধ্যমেই রামের ন্যায়বিচার দেখা যেতে পারত। যে দল রামের উপাসনা করত তারাই বৃহত্তম দল হয়েছে। কিন্তু ভগবান রামের উপাসকরা পরে অহংকারী হয়ে উঠেছিল। ওই দল যা ভোট যা ক্ষমতা পেতে পারত, তাদের দম্ভের কারণে সেটা পেতে দেননি ভগবান রাম।’ তবে এই আরএসএস নেতা বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি। এর পরেই বিজেপি ও সঙ্ঘের মধ্যে ফাটলের জল্পনা আরও বেড়ে যায়।
সকাল সকাল সুখবর! ঝেঁপে বৃষ্টি আসছে রাজ্যের এই ৮ জেলায়
ইন্দ্রেশ কুমারের মন্তব্য প্রসঙ্গে আরএসএস সূত্রের দাবি, ‘ইন্দ্রেশ যা বলেছেন তা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত মত। এর সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।’
যদিও বিতর্ক তুঙ্গে উঠতেই ভোল বদলে ফেলেছেন ইন্দেশ। দাবি করেছেন, বিজেপির হ্যাটট্রিক ও মোদী তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় তিনি খুশি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে ইন্দেশ কুমার বলেছেন, ‘শেষপর্যন্ত এটাই বাস্তব যে, যে যাঁরা ভগবান রামের বিরুদ্ধে ছিল তাঁরা ক্ষমতার বাইরে এবং যাঁরা ভগবান রামের ভক্ত তাঁরাই ক্ষমতায় রয়েছেন।’