৪০০ আসন পাওয়ার স্বপ্নে তখন বিভোর বিজেপি নেতৃত্ব। প্রচারে চলছে বিরোধীদের তুলোধনা। জনসমাগমও হচ্ছে দেদার। যা পদ্মের ৪০০ পারের স্বপ্নকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছিল। সেই সময়ই আরএসএস (RSS) নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে গেরুয়া দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘বিজেপি এখন যথেষ্ট সক্ষম। আরএসএসের সাহায্য ছাড়াও দল হিসাবে চলতে পারে।’ কিন্তু বাস্তবে, ৪০০ তো দূর, আড়াইশ অতিক্রমে ব্যর্থ দেশের সর্ববৃহৎ দলটি। আর মুখ থুবড়ে পড়তেই বিজেপিকে নিসানা করে মুখ খুলছেন তাবড় আরএসএস নেতারা। সঙ্ঘ চালক মোহন ভগবতের পর এবার মোদী-অমিত শাহ- নাড্ডাদের কড়া কথা শোনালেন আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। সরব হলেন বিজেপি নেতাদের দম্ভ নিয়ে।
জয়পুরের কানোটায় এক অনুষ্ঠানে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, ‘২০২৪ সালে গণতন্ত্রের উৎসবের মাধ্যমেই রামের ন্যায়বিচার দেখা যেতে পারত। যে দল রামের উপাসনা করত তারাই বৃহত্তম দল হয়েছে। কিন্তু ভগবান রামের উপাসকরা পরে অহংকারী হয়ে উঠেছিল। ওই দল যা ভোট যা ক্ষমতা পেতে পারত, তাদের দম্ভের কারণে সেটা পেতে দেননি ভগবান রাম। ২৪১-য়েই আটকে দিয়েছেন তিনি।’ তবে সমালোচনার সময় বিজেপির নাম উচ্চারণ করেননি ইন্দ্রেশ।
ইন্ডিয়া জোটকেও নিশানা করেছেন আরএসএস নেতা ইন্দেশ কুমার। তাঁর কথায়, ‘ভক্তরা অহংকারী হয়ে গেলেও তারা ২৪১টি আসন পেয়েছে। পার্লামেন্টের বৃহত্তম দল হয়েছে। আর যারা রামকে বিশ্বাসই করেনি তারা মাত্র ২৩৬টা আসন পেয়ে থেমে গিয়েছে। এটাই তাদের শাস্তি, কারণ অবিশ্বাসী হলে সাফল্য পাওয়া যায় না। তাই দল বেঁধে লড়াই করলেও, একটা দলের কাছে হেরে গিয়েছে।’
চলতি সপ্তাহেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসেবায় নম্র হওয়ার গুরুত্ব প্রচার করেছিলেন। ভাগবত বলেছিলেন, ‘একজন প্রকৃত জনসেবক মর্যাদা বজায় রাখেন। কাজ করার সময় তিনি নীতিবোধ অনুসরণ করেন। আমি এই কাজটি করেছি বলে তিনি দম্ভ প্রকাশ করবেন না। শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিকেই সত্যিকারের সেবক বলা যেতে পারে।’ যা ঘুরিয়ে বিজেপি নেতৃত্বকে পাঠ বলে মনে করা হয়।