সামাজিক মাধ্যমে বিপদগ্রস্থ পর্যটক যেমন নিষেধ করছেন তেমনই বিভিন্ন পর্যটন সংস্থাগুলির তরফেও বার্তা আসছে-‘টিকিট ক্যানসেল করুন’। আগাম বুকিং করা পর্যটকদের অনেকেই সিকিম ও কালিম্পংয়ের (Kalimpong) বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকা ঘোরার সিদ্ধান্ত থেকে সরছেন। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যাওয়ার রাস্তায় বিখ্যাত তিস্তা বাজার ডুবছে। সেখানে বিপদসীমা ছুঁয়ে প্রবল গতিতে চলেছে তিস্তা নদী।
বৃহস্পতিবার তিস্তার জল বিপদসীমার কাছাকাছি আসার পরেই তিস্তা বাজারের বাসিন্দারা চরম আতঙ্কে উপরের দিকে উঠে যান। আশঙ্কা করা হচ্ছে কালিম্পংয়ের সঙ্গে পড়শি জেলা দার্জিলিংয়ের শিলিগুড়ি সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। শুক্রবার তিস্তায় জারি হল হলুদ সতর্কতা।
হিমালয়ে দুর্যোগ ও প্রবল বৃষ্টির কারণে তিস্তার গতিপথে থাকা সিকিমের বহু এলাকা বিচ্ছিন্ন। মঙ্গন জেলার পরিস্থিতি খুবই খারাপ বলে জানিয়েছে সিকিম সরকার। গ্যাংটকের সতর্কতা, পশ্চিমবঙ্গের দিকে তিস্তার বন্যা ভয়াবহ হতে চলেছে।
দুর্যোগের কারণে, সিকিমের গুরুদংমার লেক এবং ইউনথাং উপত্যকার মতো জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলির জন্য পরিচিত মাঙ্গান জেলার জংগু, চুংথাং, লাচেন এবং লাচুং-এর মতো শহরগুলি এখন দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।