সংঘের সরাসরি আক্রমণের মুখে বিজেপি। সংঘাত প্রবল। সংঘের (RSS) দৃষ্টিতে উঠে আসছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অহংবোধ গ্রাস করেছিল বিজেপিকে। সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত এই সংঘাত শুরু করার পর আরএসএস মুখপত্রেও তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বিজেপির ভূমিকা। একাধিক সংঘ তাত্ত্বিক নেতা সরব।
আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দুর্বল পারফরম্যান্সকে “অহংকার” বলে দায়ী করেছেন। বৃহস্পতিবার জয়পুরের কাছে কানোটায় একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করতে গিয়ে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, “যারা ভগবান রামের ভক্তি করে তারা ধীরে ধীরে অহংকারী হয়ে ওঠে। সেই দলটিকে সবচেয়ে বড় দল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু ঔদ্ধত্যের কারণে ভগবান রাম তাদের 241-এ থামিয়ে দেন।”
আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জনসেবায় নম্রতার গুরুত্ব প্রচার করার কয়েকদিন পর আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমারের এমন মন্তব্য এসেছে।
সংঘ প্রধান ভাগবত বলেছেন, “একজন সত্যিকারের সেবক মর্যাদা বজায় রাখে। কাজ করার সময় তিনি সাজ-সজ্জা অনুসরণ করেন। ‘আমি এই কাজটি করেছি’ বলার মতো অহংকার তার নেই। শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিকেই সত্যিকার সেবক বলা যেতে পারে।” ভাগবত অহিংসা ও সত্যের নীতির উদ্ধৃতি দিয়ে সকলের প্রতি বিনয় ও সদিচ্ছার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন। বিরোধীদের কটাক্ষ, নির্বাচনের আগে মোদীর এমন সমালোচনা কেন করেনি সংঘ।
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি একক গরিষ্ঠতা পায়নি। তবে বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোট সরকার গঠিত হয়েছে। তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হলেও মোদী এখন দুই বৃহত্তম শরিক টিডিপি ও জেডিইউর শাঁড়াশি চাপের মুখে সরকার চালাচ্ছেন। শরিকি জটিলতার পাশাপাশি সংঘের লাগাতার প্রশ্নের মুখে পড়ছে বিজেপি।
মোদীর নেতৃত্বে বিজেপির রাম নীতির সমালোচনার পাশাপাশি সংঘ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার বিরোধী শিবির ইন্ডিয়া ব্লককেও টার্গেট করেন। তিনি ইন্ডিয়া জোটকে “রাম-বিরোধী” হিসাবে চিহ্নিত করেন। বিরোধী জোটের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, “যাদের রামে বিশ্বাস ছিল না, তাদের একসঙ্গে 234-এ থামানো হয়েছে। ঈশ্বরের ন্যায়বিচার সত্য এবং আনন্দদায়ক।”
লোকসভা নির্বাচনে ইন্ডিয়া ব্লক 234টি আসন পেয়েছে। কংগ্রেস নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট লোকসভায় শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ।