নিট বা সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকায় অনিয়ম ঘিরে তোলপাড় পড়েছে। একাধিক মামলা হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতে। বেশিরভাগেরই আবেদন বাতিল করা হকো নিট পরীক্ষা। সেইসব মামলার মঙ্গলবার শুনানি হয় বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং আহসানুদ্দিন আমানুল্লার অবকাশকালীন বেঞ্চে। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারীদের আবেদন মেনে নিট বাতিল করেনি। তবে, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ-কে নোটিস দিয়ে জবাব তলব করেছে।
তবে ডাক্তারি পাঠক্রমে ভর্তির জন্য চলবে কাউন্সেলিং বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এ দিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি আমানুল্লা এনটিএ-র আইনজীবীকে বলেন, ‘পরীক্ষার পবিত্রতা নষ্ট হয়েছে। তাই আমরা উত্তর চাই।’ পুরো বিষয়ে জবাব দিতে কত দিন সময় লাগবে জানতে চান।
মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেই চিন-পাকিস্তান নিয়ে কড়া বার্তা জয়শঙ্করের
এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ঠা জুলাই। ওই দিন নিট ‘দুর্নীতি’র মামলা উঠবে প্রদান বিচারপতির বেঞ্চে।
নিট-এ প্রশ্ন ফাঁস এবং ঢালাও নম্বর দেওয়া সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নিট-এ একসঙ্গে ৬৭ জনের প্রথম স্থান পাওয়া ঢালাও নম্বর দানের ফল বলেই অভিযোগ। যদিও নিট কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, পরীক্ষায় কোনও অনিয়ম হয়নি। যা মানতে রাজি নয় পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
নিট-এ দুর্নীতি নিয়ে মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।
২০২৪ সালের ৫ মে মেডিক্য়ালের সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট হয়েছিল। সেদিন পরীক্ষা শুরুর আগেই প্র্শ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। ১৭ মে পরীক্ষার ফলপ্রকাশের স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত স্থগিতাদেশ দেয়নি। যদিও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূ়ড়ের বেঞ্চ নোটিস দিয়ে কর্তৃপক্ষের জবাব তলব করে। আগামী ৮ জুলাই মামলাটির শুনানি। ওই দিনই পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানানো সংক্রান্ত মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।