Mohan Bhagwat: ‘অহংকার’, ‘শালীনতা নেই’ ভাগবতের নিশানায় মোদী? সরকারের অন্দরে ভূমিকম্প

লোকসভা নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে বিজেপির সরকার হয়নি। এনডিএ জোটের সরকার কাজ শুরু করেছে। বিরোধীপক্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বে চলা ইন্ডিয়া জোট।…

Mohan Bhagwat

লোকসভা নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে বিজেপির সরকার হয়নি। এনডিএ জোটের সরকার কাজ শুরু করেছে। বিরোধীপক্ষ কংগ্রেস নেতৃত্বে চলা ইন্ডিয়া জোট। নতুন সরকার কাজ শুরু করার পরপরই সংঘ পরিবারের রোষ দেখা গেল। সংঘ প্রধান মোহন ভাগবতের (Mohan Bhagwat) বিস্ফোরক দাবি, নির্বাচনে শালীনতা বজায় রাখা হয়নি।

সংঘ প্রধানের এমন ইঙ্গিত কি প্রধানমন্ত্রী মোদীর দিকে? রাজনৈতিক বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, ভোট পর্বে মোদীর প্রচার ভাষণে ‘বিভেদ’ নিয়ে সরব ছিল বিরোধীরা।

   

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সোমবার বলেছেন যে একজন সত্যিকারের সেবকের কোনও অহংকার নেই এবং অন্যের ক্ষতি না করে কাজ করে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সময়ে ‘শালীনতা বজায় রাখা হয়নি’। আরএসএস কর্মীদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের সমাপ্তির পরে একটি সমাবেশে ভাষণ দিয়ে ভাগবত ‘ঐকমত্য’ প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।

মোহন ভাগবত বলেছেন, “আসল সেবক, যাকে প্রকৃত সেবা বলা যেতে পারে, তিনি মর্যাদার অনুসরণ করেন। যিনি মর্যাদা অনুসরণ করেন, কাজ করেন কিন্তু কাজে লিপ্ত হন না, তার অহংকার নেই যে আমি এটি করেছি এবং আমার সেবক বলার অধিকার আছে।”

কেন আলোচনায় আরএসএস প্রধানের বক্তব্য?
আরএসএস প্রধানের এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে যখন বিজেপি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে এবং আরএসএস ফলাফলের পরে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত। মোহন ভাগবত বলেছেন, নির্বাচনকে যুদ্ধ হিসেবে দেখা উচিত নয়। তিনি বলেন, “যে ধরনের কথা বলা হয়েছে, যেভাবে (নির্বাচনের সময়) উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। যেভাবে করা হচ্ছে তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি। তার কারণে সামাজিক বিভাজন তৈরি হচ্ছে এবং কোনো কারণ ছাড়াই। এতে সংঘকে টেনে আনা হয়েছে, মিথ্যা ছড়ানো হয়েছে।”

মোহন ভাগবত মণিপুরের হিংসাত্মক পরিস্থিতি ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন। তিনি বলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। ভাগবত বলেন, “গত এক বছর ধরে মণিপুর শান্তির অপেক্ষায় ছিল। গত এক দশক ধরে শান্তিপূর্ণ ছিল। মনে হচ্ছিল পুরনো দিনের বন্দুক সংস্কৃতির অবসান হয়েছে। কিন্তু তা আবার শুরু হয়েছে। মণিপুর এখনও জ্বলছে। কারা এটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মোকাবেলা করা আমাদের কর্তব্য।