দেশে নতুন সরকারের শপথগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মন্ত্রীরা যে যার মন্ত্রকও বুঝে নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার যেমন বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব বুঝে নিলেন এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। এবারেও তাঁর প্রতি আস্থা রেখেছে মোদী সরকার। এদিকে আজ দায়িত্ব বুঝে নিয়েই চিন ও পাকিস্তানের প্রতি কড়া মনোভাব দেখালেন জয়শঙ্কর।
মঙ্গলবার বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন এস জয়শঙ্কর। এ সময় তিনি বিদেশ নীতি নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী সেটা নিয়ে কথা বলেন। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘আজ বিশ্বের নানা দিকে অনেক অশান্তি চলছে। ক্রমশ উত্তেজনা ও সংঘাতও বাড়ছে। এমন সময়ে, ভারত এমন একটি দেশ হিসাবে পরিচিত হয়েছে যার ওপর বিশ্বাস করা যায়, যার খ্যাতি এবং প্রভাব বিভিন্ন দেশের ওপর পরতে শুরু করেছে।’
দায়িত্বে আসার পরেই চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাত কীভাবে মোকাবিলা করবেন সেই নিয়ে মন্তব্য করলেন জয়শঙ্কর। আগামী পাঁচ বছরে চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, “যে কোনও দেশ, বিশেষত গণতন্ত্রে, যে কোনও সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদে থাকাটা একটি বড় বিষয়। এর থেকে বিশ্ব জানতে পারবে যে ভারতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। পাকিস্তান ও চিনের ক্ষেত্রে দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক যদি ভিন্ন হয়, তাহলে সমস্যাও ভিন্ন হবে। আমাদের প্রচেষ্টা চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের সমাধান খুঁজে বের করা এবং আমরা আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে চাই।”
তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয় যে আমাকে আরও একবার বিদেশ মন্ত্রকের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। গত মেয়াদে বিদেশ মন্ত্রক খুব ভাল কাজ করেছে। আমরা জি-২০ প্রেসিডেন্সি সফল করেছি। সফলভাবে করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। ভ্যাকসিন মৈত্রীর আওতায় ভ্যাকসিনও সরবরাহ করা হয়েছিল। এছাড়াও অপারেশন গঙ্গা, অপারেশন কাবেরীর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন চালানো হয়েছিল। গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে বিদেশ মন্ত্রক জনমুখী হয়ে উঠেছে। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আমাদের পাসপোর্ট সেবার উন্নতি হয়েছে। একই সময়ে, আমরা সম্প্রদায় এবং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের কল্যাণে কাজ করেছি। ‘