আদিত্য ঘোষ, কলকাতাঃ প্রায় একই সময় ফ্রেমে পর পর বেশ কয়েকটি কাজ! একটি বড় পর্দার এবং বাকি দুটি ওয়েব। কথায় বলে স্বস্তিকা যে কাজে থাকে সেই কাজ মাইলফলক হয়ে থাকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে। এই কথা আজকাল হরদম বাংলা দর্শকের মুখে মুখে শোনা যায়। তবে এখনও স্বস্তিকা এইসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ! তিনি আজও কাজকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন এবং ভবিষ্যতেও তিনি কাজকেই প্রাধান্য দেবে বলে জানালেন। সম্প্রতি তাঁর দুটি ওয়েবের কাজ রিলিজ করেছে। ক্লিক প্ল্যাটফর্মে রিলিজ করেছে ‘বসন্ত এসে গেছে’ এবং হইছই প্ল্যাটফর্মে ‘গভীর জলের মাছ ২’। অভিনেত্রীর কথার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, আপাতত ক্লিক প্ল্যাটফর্মে ‘বসন্ত এসে গেছে’ সবচেয়ে বেশী দেখা ওয়েব সিরিজের তালিকায় এক নম্বরে আর অন্যদিকে গভীর জলের মাছ দর্শকদের দেখার তালিকায় প্রথম দশে আছে।
কথার সূত্রে স্বস্তিকা দত্ত কলকাতা ২৪x৭কে জানালেন যে, ” আমি অভিনয়টা মন দিয়ে করেছি। ব্যস, আর কিছু দেখিনি। কাজে নিজের ১০০ শতাংশ দিয়েছি, তারপরে বাকিটা দর্শক বিচার করেছে।” তাঁকে প্রশ্ন করা হল, ” বসন্ত এসে গিয়েছি কি একটি প্রেমের গল্প?” তিনি হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, ” প্রেমের গল্প হ্যাঁ কী না সেটা তো দেখার পর দর্শকরা বলবেন। তবে আমি এইটুকু বলতে পারি এখানে তিনটে মানুষের জীবনের গল্প এবং দিনের শেষে তিনটে গল্প একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত।” তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, ” এই ওয়েব সিরিজ কেন লোকে দেখবে?’তিনি উত্তর দিলেন, ” আমাদের তিনজনের অভিনয় এবং গল্পের জন্যই লোকে এই সিরিজ দেখবে।”
অন্যদিকে ‘গভীর জলের মাছ ২’ নিয়ে তিনি জানালেন, ” এই ওয়েব সিরিজের প্রথম পর্বটা না দেখলে দ্বিতীয় পর্বটা কিন্তু বোধগম্য হবে না।’তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসা করা হল, ” তাহলে গল্পটা জটিল ?” তিনি হাসতে হাসতে বললেন, ” সেটা দেখার পরে দর্শকরা বলবেন।” তাঁকে আবার জিজ্ঞাসা করা হল, ” এরপরের কী কাজ আসছে?’তিনি একটু থামলেন। তারপরে ভেবে বললেন, ” মুম্বই থেকে ফোন এসেছিল। এখনও কিছু ঠিক করিনি।” জিজ্ঞাসা করা হল, ” সিনেমা না সিরিয়াল?” তিনি ভেবে বললেন, ” এই মুহূর্তে সিরিয়ালের অফার আছে! তবে বাকিটা এখনই বলতে পারব না!’তিনি কিছুটা ধোঁয়াশা রাখলেন আবার পাশাপাশি এটাও বললেন যে, ” আমি যে কোনও মাধ্যমে, যে কোনও জায়গায় কাজ করতে প্রস্তুত। সিনেমা, সিরিয়াল কিংবা ওয়েব সবকিছুতেই আমার ভিত্তি অভিনয়।’তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ” তুমি কি মুম্বই পাড়ি দেবে?” তিনি ভেবে বললেন, ” দেখি, এখনও কিছু ভাবিনি।”