‘মনোরঞ্জন’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা শোনালেন জিনাত আমান

সোমবার, শাম্মী কাপুর (Shammi Kapoor) পরিচালিত প্রথম ছবি ‘মনোরঞ্জন’ (Manoranjan) এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতা সমাজমাধ্যমে ভাগ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জিনাত আমান (Zeenat Aman)। জিনাত জানান যে…

Zeenat Aman

সোমবার, শাম্মী কাপুর (Shammi Kapoor) পরিচালিত প্রথম ছবি ‘মনোরঞ্জন’ (Manoranjan) এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতা সমাজমাধ্যমে ভাগ করলেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী জিনাত আমান (Zeenat Aman)। জিনাত জানান যে ওই চলচ্চিত্রে এক যৌনকর্মীর (Sex Worker) ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। চরিত্রটির বর্ণনা করে তিনি লিখেছিলেন, “এটি এমন একটি চরিত্র ছিল যার ভূমিকায় আমি অভিনয় করতে গিয়ে আমি আনন্দ পেয়েছি, মেয়েটি ছিল স্বাধীনচেতা, আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী এবং যে কোনও পুরুষের সঙ্গে মোকাবিলা করা তাকে প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম ছিল সে। ” চলচ্চিত্র থেকে ৩টি ছবি শেয়ার করেছেন জিনাত আমান। শেয়ার করা ছবিগুলির মধ্যে একটিতে লাল পোশাকে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। জিনাত আমান চলচ্চিত্রটির একটি হাতে আঁকা পোস্টারও (Poster) শেয়ার করেছেন। একটি ধূসর স্কেলের ছবিতে তাকে এবং সঞ্জীব কুমারকে (Sanjeev Kumar) পরিচালকের সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা যাচ্ছে।

‘নীতি পুলিশ’ (Moral Police) এর উল্লেখ করে পোস্টটি আরম্ভ করেন জিনাত (Zeenat Aman)। ‘নীতি পুলিশ’ কে তার কেরিয়ারের সারা জীবনের সঙ্গী বলেও উলেখ করেন তিনি। তার কথায়, “আমার ক্যারিয়ারে যদি আমার একজন সঙ্গীও থেকে থাকে, তাহলে সেটা হলো ‘নীতি পুলিশ’। এবং, আমার সৌভাগ্য, আমি সেটিকে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। ‘মনোরঞ্জন’ (Manoranjan) ছিল ১৯৬৩ সালের আমেরিকান কমেডি ‘ইরমা লে ডুস’-এর একটি রূপান্তর এবং এই চলচ্চিত্রে আমি নিশা নামক একজন স্বাধীনচেতা এবং মর্যাদাপূর্ণ যৌনকর্মীর চরিত্রে অভিনয় করেছি।” মনোরঞ্জন ছবির শ্যুটিং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে, বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লেখেন, “‘মনোরঞ্জন’ এর শুটিং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। আমরা হাসতে হাসতে শুটিং এর দিনগুলো কাটিয়েছি। এই ছবি দিয়েই পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন শাম্মী কাপুর (Shammi Kapoor), সঙ্গীত পরিচালকের ভূমিকায় ছিলেন আরডি বর্মন (R.D. Burman) এবং মুখ্য পুরুষ চরিত্রে সঞ্জীব কুমার (Saneev Kumar)। প্রযোজক এফসি মেহরা (FC Mehra) ছিলেন আমার পারিবারিক বন্ধু।

   

জিনাত আমান জানিয়েছেন যে কীভাবে শাম্মী কাপুর তাকে এই ছবিতে আরও ভালো অভিনয় করার জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। জিনাত লিখেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যে শাম্মীজি এই ছবিতে আমাকে আরও ভাল অভিনয়ের জন্য তৈরী করেছিলেন।এই ছবির সঙ্গীত এবং পোশাকগুলিও তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল বলে জানিয়েছেন জিনাত । ‘আয়া হুঁ মে তুঝে’ কো লে জাওঙ্গা’, আশা ভোঁসলের গাওয়া ‘চোরি চোরি সোলাহ সিঙ্গার’ এবং সর্বদেশে ‘দুলহান মাইকে চালি’ গানটি যেটি সম্পূর্ণরূপে চিত্রিত হয়েছে একটি পুলিশ ভ্যানে যাতে করে যৌনকর্মীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পুলিশ স্টেশন। আপনারা যদি আগ্রহী হন তবে মঙ্গেশকর বোনেদের গাওয়া এই ৩টে গান ইউটুবে গিয়ে শুনতে পারেন। ৭০ এর দশকটি নীতিপুলিশ থাকা সত্ত্বেও একটি দুর্দান্ত সময় ছিল! স্বাধীনতা এবং ফ্যাশন অতুলনীয় ছিল!” জিনাত পোস্টটি শেষ করার আগে লেখেন তার অনুরাগীদের প্রশ্ন করেন, “আপনাদের কি এই ছবিটির কথা মনে আছে? এই ছবিকে দেখা কেন্দ্র করে কোনও স্মৃতি জড়িয়ে আছে? আমাকে অবশ্যই জানাবেন। “

পোস্টটি দেখে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মন্তব্য করেন, “নীতি পুলিশ এখনও আশেপাশে আছে এবং আশেপাশেই থাকবে বলে মনে হচ্ছে! কিন্তু আপনি তার উর্ধে।” অর্চনা পুরান সিং তার দীর্ঘ মন্তব্যে লেখেন, “আমার মনে আছে দেরাদুনের মতো ছোট শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে এই চলচ্চিত্রটি দেখেছিলাম এবং আমার একটা অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমি খুব ছোট ছিলাম এবং যদিও ছবিটি A সার্টিফিকেট পেয়েছিল, আমার বা মা আমায় ছবিটি দেখতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং ছবিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। এই চলচ্চিত্র দেখেই আমি আমি আপনার অনুরাগী হয়েছি… আপনার পোশাক, আপনার স্টাইলিং এবং আপনার উপস্থিতি সেই সময়ে আমার জন্য একটি অনুপ্রেরণা ছিল এবং ‘মনোরঞ্জন’ দেখেই আমি অভিনেত্রী হওয়ার অনুপ্রেরণা পাই।”

জিনাত আমান ইনস্টাগ্রামে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই তার পোস্টগুলি অনুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। অন-স্ক্রিন নগ্নতা থেকে শুরু করে, প্যারেন্টিং টিপস, সেলিব্রিটিদের গোপনীয়তা, সব বিষয় নিজেই তার অভিজ্ঞতা ভাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। ‘ডন’, ‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ এবং ‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ এর মতো চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত জিনাত আমান।