Carbon Emissions: ভারত এখনও কার্বনের আঁতুরঘর, পিছন থেকে ‘Leading the World…’

News Desk: নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন নরেন্দ্র মোদীতেই। শব্দ জালে ফের বোঝাতে চাইলেন ‘সব চাঙ্গা হ্যায়’। জলবায়ু পরিবর্তন এবং কার্বন নির্গমনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারত।…

Modi

News Desk: নরেন্দ্র মোদী রয়েছেন নরেন্দ্র মোদীতেই। শব্দ জালে ফের বোঝাতে চাইলেন ‘সব চাঙ্গা হ্যায়’। জলবায়ু পরিবর্তন এবং কার্বন নির্গমনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছে ভারত। কিন্তু সত্যি কি তাই?

নতুন বছরের প্রথম দিনে নিজ সরকারের গুণগান গাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যার মধ্যে অন্যতম বিষয়- জলবায়ু পরিবর্তন এবং কার্বন নির্গমন। তাঁর মতে, ‘”জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিশ্বকে দিশা দেখাচ্ছে ভারত। ২০৭০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনের দিক থেকে দেশ হবে ‘নেট জিরো’।” নেট জিরো অর্থাৎ, মোট শূন্য শতাংশ।

   

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, উক্ত সালের মধ্যে ভারতে একেবারে বন্ধ হবে কার্বন নির্গমন। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা কার্বন। বিজ্ঞানী, বিদ্বজ্জনেরা পূর্বে বহু বার সতর্ক করেছেন কার্বন নিঃসরণ এর ব্যাপারে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একের পর এক সম্মেলন করেছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশনায়কেরা। ভারতও রয়েছে তার মধ্যে। মোদীর দাবি, এক্ষেত্রে অন্যায় দেশগুলিকে পথ দেখাচ্ছে ভারত।

প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসবাণী এবং পরিসংখ্যান এর মধ্যে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। বিশ্বব্যাপী কার্বন উৎপাদক দেশগুলির মধ্যে ভারতের স্থান প্রথম সারিতে। ২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার। এর চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৮ সালে কার্বন নির্গমনের তালিকায় ভারত জায়গা পেয়েছিল প্রথম দিক থেকে তিন নম্বরে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উক্ত বছরে ভারতে কার্বন নির্গমনের পরিমাণ ছিল ২.৫৬ জিটি। যা বিশ্বব্যাপী উৎপন্ন মোট কার্বনের প্রায় ৭ শতাংশ। CO2 উৎপাদনের ক্ষেত্রে তৎকালীন ‘ফার্স্ট-বয়’ এবং ‘সেকেন্ড-বয়’ যথাক্রমে, চিন ও (২৮ শতাংশ), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৫ শতাংশ)। তখন চতুর্থ স্থানে ছিল রাশিয়া (৫ শতাংশ)।

পাওয়া গিয়েছে ২০১৫ সালের কিছু তথ্যও। সে’বছর কার্বন উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের ‘অবদান’ ছিল ৬.৮ শতাংশ। ২০১৮ সালে প্রায় ৭ শতাংশ। অর্থাৎ আমাদের দেশে ঊর্ধ্বমূখী ছিল কার্বন-ডাই-অক্সাইডের জন্মহার। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মসনদে ভারতীয় জনতা পার্টি।

এমিশন ডেটাবেস ফর গ্লোবাল অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ ভারতে তখনও কার্বনের আঁতুরঘর। এক রেখাচিত্র অনুযায়ী, ১৮৫০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিশ্ব জুড়ে ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানী। ‘ভারত’ অগ্রগণ্য এক নাম। জীবাশ্ম জ্বালানী সম্পর্কিত অপর এক রেখচিত্রেও উজ্জ্বল ভারত। ২০০০ সালের পর থেকে কার্বন নির্গমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বগামী। উল্লেখিত দ্বিতীয় রেখাচিত্রের তথ্য-কাল ১৯৭০-২০১৮ পর্যন্ত।

যদিও কার্বন নির্গমন সংক্রান্ত তথ্যগুলো প্রকাশ করেছে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা।