ভোট মিটেছে, মিলেছে জয়। এরপরই হাওড়ায় তৃণমূলের অন্দরের বিবাদ প্রকাশ্যে। সদ্য জয়ী তথা চারবারের সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি! সোশাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো বার্তায় লিখলেন, ‘এটা ঠিক করলেন না দাদা। যতটা সম্মান করতাম আর হয়ত করতে পারবো না।’
কী অভিযোগ?
হাওড়া লোকসভা কেন্দ্র থেকে এই নিয়ে চতুর্থবার জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এলাকায় দেখা না যাওয়ায় নির্বাচনী প্রচারপর্বে তাঁকে ঘিরে শুরু থেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ ছিল। এমনকী বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন। শিবপুরের বিদায়ক তথা মন্ত্রী মনোজের দাবি, সেই সময় সাংসদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। হাওড়ায় শুধু জয়েই নয়, শিবপুর থেকেও লিড পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী।
কিন্তু ভোটের ফল বেরোনোর পরই ভোলবদল হয়েছে প্রসূনের! এক বারও সাংসদ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কিন্তু, অন্যদের সঙ্গে জয়ের আনন্দ উপভোগ করতে ব্যস্ত তিনি। এতেই অসন্তোষ ঝরে পরেছে মনোজ তিওয়ারির।
সহ্যের সীমা ছাড়াতেই সোশাল মিডিয়ায় প্রসূনের উদ্দেশে ভিডিওবার্তা পোস্ট করেছেন মনোজ। সেখানেই রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘জেতার পরে আপনি আমায় এক বার ফোন করে অভিনন্দন জানাননি। দেখা করেননি। অথচ শিবপুর কেন্দ্রে আপনাকে হারানোর জন্য দলের একাংশই আপনার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছিল। আপনি তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন। ফুলের মালা পরে ছবি তুলছেন। এটা জেনে আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। দুঃখ পেয়েছি।’
অধীরের কাকুতি-মিনতি! কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে কীসের আর্জি?
মনোজের সংযোজন, ‘সব চক্রান্ত ব্যর্থ করে এই কেন্দ্রে আপনাকে জয়ী করিয়েছি। মনোজ তিওয়ারিকে দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে ছোট করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁরা চাননি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও টিকিট পান। আমরা আপনাকে জিতিয়েছি। আর আপনি আমাদের ভুলে গিয়ে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কাছ থেকে সংবর্ধনা নিচ্ছেন। এটা ঠিক করলেন না দাদা।যতটা সম্মান করতাম আর হয়ত করতে পারবো না। আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি।’
তবে এই প্রসঙ্গে এখনও সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।