সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ। ভারতীয় ফুটবলের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের গ্যালারি মুখরিত হবে ‘সুনীল, সুনীল…’ ধ্বনিতে। সুনীল ছেত্রী বহু মানুষের রোল মডেল। বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র অনিন্দ্য চ্যাটার্জির কাছেও সুনীল ছেত্রী এক আইকন। প্ৰিয় ফুটবলারের বিদায়ী ম্যাচের আগের খাতায় আঁকল তাঁর ছবি।
সুনীল ছেত্রীর একাধিক ছবি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছে অনিন্দ্য। নিজের হাতে আঁকা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ফুটবল প্রেমীদের নজর কেড়েছে। সুনীলের আরও ছবি আঁকতে চাইছিল অনিন্দ্য চ্যাটার্জি। ভারত বনাম কুয়েত ম্যাচের আগের দিন সে বলল, “আজকে ওনার আরও একটা ছবি আঁকবো।”
অনিন্দ্য তাঁর নায়কের ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন সাদা কাগজে। এই নিয়ে সুনীল ছেত্রীর তিন নম্বর ছবি আঁকল সে। আবেগ অমূল্য। এই ছবিও অমূল্য। গণগণে রোদে যখন বাইরে তাকানো দায়, অনিন্দ্য তখন মন দিয়েছিল আঁকার খাতায়। শান্ত পরিবেশে মাঝে মধ্যে ভেসে আসছিল পাখির ডাক। শিল্পীর প্রতি শিল্পীর শ্রদ্ধার্ঘ।
অনিন্দ্য নিজেও একজন উঠতি ফুটবলার। কলেজের পড়াশুনার পাশাপাশি ফুটবল খেলা ও ছবি আঁকা। পান্ডুয়া থানার অন্তর্গত হরাল গ্রামের ১৯ বছরের যুবক সুনীল ছেত্রীর সঙ্গে দেখা করে উপহার দিতে চায় নিজের আঁকা দু’টো ছবি। একটা ছবি রাখতে চায় নিজের কাছে, সেটায় থাকবে সুনীল ছেত্রীর সই। অনিন্দ্য ফুটবল মাঠেই নিজের কেরিয়ার গড়তে চায়। তাঁর বাবাও ফুটবল মাঠের সঙ্গে যুক্ত। সুনীল ছেত্রীর মতো নিয়ম ও নিষ্ঠা মেনে ফুটবলার হতে চাইছে অনিন্দ্য চ্যাটার্জি।