চাপে মোদী, এবার বুঝে নেওয়ার পালা! নীতীশের চোখে কোন কোন মন্ত্রক?

এবার এনডিএ শরিক দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তর দল জেডিইউ। তাদের ঝুলিতে ১২টি লোকসভা আসন। ফলে অতীতের অপমানের ‘শোধ’ তুলতে মরিয়া নীতীশ কুমার। ক্যবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ বেশ…

3 ministries Nitish Kumars JDU will have its eyes on, নীতীশ কুমারের নজরে কোন কোন মন্ত্রক

এবার এনডিএ শরিক দলগুলোর মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তর দল জেডিইউ। তাদের ঝুলিতে ১২টি লোকসভা আসন। ফলে অতীতের অপমানের ‘শোধ’ তুলতে মরিয়া নীতীশ কুমার। ক্যবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি মন্ত্রকে নজর ভারতীয় রাজনীতির ‘পল্টুরামে’র।

বুধবার দিল্লিতে তৃতীয় মোদী মন্ত্রিসভা গছন সংক্রান্ত প্রথম এনডিএ-র বৈঠকে হাজির ছিলেন বিহাররে মুখ্যমন্ত্রী খোদ। বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য লিখিত সমর্থন জানিয়েছেন নীতীশ। জলদি সরকার গড়তে মোদীকে তাগাদাও দিয়েছেন তিনি।

   

এই পরিস্থিতিতে জেডিইউ-এর এক শীর্ষ নেতার কথায়, ২০১৯ সালের সেই ‘অপমান’ ভোলা সম্ভব নয়। সেবার এককবাবে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি। ফলে পাত্তা পায়নি তেমন কোনও এনডিএ শরিক। ১৬ আসন পেলেও সেবার নীতীশের দলকে মাত্র একটি গুরুত্বহীন মন্ত্রক দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছিল।

মিলেছে মোদী-চন্দ্রবাবুর লিখিত সমর্থন, তাতে আদৌ চিন্তা কাটল মোদী-শাহদের?

পাঁচ বছর আগেই মোদী ও বিজেপির অহংকারী রূপ দেখেছেন নীতীশ কুমার। এবার তাই সুদে-আসলে সেই ‘অপমানে’র শোধ তোলার পালা নীতীশদের সামনে। জেডিএই-এর এক নেতার দাবি, দলের নজরে রয়েছে রেল, গ্রামীণ উন্নয়ন, জল-শক্তির মত সব মন্ত্রক। এছাড়াও পছন্দের তালিকায় রয়েছে পরিবহণ ও কৃষি মন্ত্রকও। ওই জেডিইউ নেতা বলেছেন, ‘এর আগে নীতীশ কুমার রেল, কৃষি ও পরিবহণের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের মন্ত্রী ছিলেন। রাজ্যের উন্নতিতে কাজে লাগে এমন সব মন্ত্রকই আমাদের নজরে রয়েছে। যেমন, বিহারে জলের সমস্যা রয়েছে, আবার বন্যাও হয়ে থাকে। ফলে জলশক্তি উন্নয়ন মন্ত্রক পেলে রাজ্যের উন্নয়নে কাজ হওয়া সম্ভব হবে। নদী ইন্টারলিংকিংয়েও এই মন্ত্রক সহায়তা করতে পারে।’

গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেলে বিহারের গ্রামীণ উন্নতি, পরিকাঠামো উন্নয়ণ ও অর্থনীতীর ক্ষেত্রে লাভ হবে। আর রেলও রাজ্যের উন্নতিতে বড় ফলদায়ক হতে পারে বলে দাবি এই জেডিইউ নেতার।

প্রায় দেড় ডজন মোদীর মন্ত্রী দুর্মুশ, স্মৃতি-নিশীথ-সুভাষদের মত পরিণতি আর কাদের?

এছাড়া, আগামী বছর বিহারে বিধানসভা ভোট রয়েছে। ওই ভোটে এনডিএ-র থেকে নেতৃত্বের সম্পূর্ণটাই দাবি করতে পারেন নীতীশ কুমার।

রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে জেডিইউ সাংসদের মধ্যে হাফডজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে পারেন বলে মনে করছে দলীয় নেতৃত্ব। উচ্চবর্ণ, অনগ্রসর শ্রেণির অন্তর্গত কুশওয়াহা ও অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া সাংসদের সংখ্যা অনুপাতের ভিত্তিতে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে বলে বিহারের শাসক দল সূত্রে খবর।

প্রাক্তন জেডিইউ জাতীয় সভাপতি এবং মুঙ্গেরের সাংসদ লালন সিং, একজন উচ্চবর্ণের হেভিওয়েট সাংসদ। ঝাঁঝাড়পুরের সাংসদ রামপ্রীত মণ্ডল একজন অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর সাংসদ। কুশওয়াহা সম্প্রদায়ের সুনীল কুমার বাল্মিকি নগরের সাংসদ। সীতামারির সাংসদ দেবেশ চন্দ্র ঠাকুর এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝাও মন্ত্রী হতে পারেন। তবে লালন সিংয়ের সঙ্গে নীতীশের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের কারণে তিনি ভাল মন্ত্রক পাওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে আগে বলে দলীয় সূত্রে খবর।