তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীতে বিবেকানন্দ রকে বৃহস্পতিবার ৪৮ ঘন্টার ধ্যানে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। ১৮৯২ সালে কন্যাকুমারীর ধ্যান মণ্ডপমেই ধ্যানস্থ হয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। তারপরই ভারতীয় মহান দার্শনিক স্বামীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে তৈরি হয় রক মেমোরিয়াল।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল গণনার আগেও ধ্যানে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কেদারনাথের কাছে একটি গুহায় গেরুয়া বসনে মোদীর ধ্যানরত অবস্থার ছবি ভাইরাল হয়েছিল।
কেন বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল রক?
চেন্নাইয়ের মাইলাপুরে শ্রী রামকৃষ্ণ মঠের ১২৫তম বার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি কেরছিলেন যে, তাঁর সরকার ও তা পরিচালনার দর্শন স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা অনুপ্রাণিত।
মোদীর কথায়, ‘আমাদের সরকার পরিচালনার দর্শনও স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা অনুপ্রাণিত। অচলায়তনের বিরুদ্ধে আঘাত ও সমতা নিশ্চিত করেই সমাজ এগিয়ে যায়। আজ, সরকারে সমস্ত ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রামে একই দৃষ্টিভঙ্গি দেখতে পাচ্ছেন। আগে এমনকী মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলোকেও বিশেষ সুবিধার মত বিবেচনা করা হত। অনেক মানুষ অগ্রগতির ফল থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। শুধুমাত্র কিছু বাছাই করা লোক বা ছোট গোষ্ঠীকে সুযোগ সুবিদা ভোগের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন উন্নয়নের দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।’
Kanyakumari: নিজেকে ভগবানের দূত দাবি করা মোদীর ধ্যানস্থল পাহারায় নৌ কমান্ডোরা
বিজেপির এক নেতা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘স্বামীজির জায়গায় বসে মোদীর ধ্যান করা আসলে বিকশিত ভারতের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিকে বোঝায়। তিনি কন্যাকুমারীতে গিয়ে জাতীয় ঐক্যের সংকেত দিচ্ছেন।’
সুরক্ষার আয়োজন
মোদীর ধ্যানের সময় কন্যাকুমারীর ওই অঞ্চল প্রায় দু’হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা থাকবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১ জুন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কন্যাকুমারীতে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং ভারতীয় নৌবাহিনীকে কঠোর নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।
বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল কী?
কন্যাকুমারী উপকূলে তামিল সাধু তিরুভাল্লুভারের মূর্তির কাছে অবস্থিত, শিলাটি প্রাচীন কাল থেকেই একটি পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছে। বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল কমিটি ধ্যান এবং জ্ঞানার্জনের জন্য ১৮৯২ সালের ২৪, ২৫, ২৬ ডিসেম্বর স্বামী বিবেকানন্দের ‘শ্রীপদ পারাই’ সফরের স্মরণে এটি তৈরি করেছিল।